পাইকুনি গ্রামে তৃণমূলের দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল। তাতে আহত হয়েছেন এক জন। রবিবার রাতের ওই ঘটনায় গ্রামে উত্তেজনা ছড়ায়। বোমাবাজি সহ চলে ইট, লাঠি দিয়ে মার। ইলামবাজার থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। সোমবারও ছিল পুলিশি টহল। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আপাতত দু’জনকে আটক করেছে ইলামবাজার থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাইকুনি গ্রাম ও গ্রামের তৃণমূল কার্যালয়ের দখলকে কেন্দ্র করে অঞ্চল সভাপতি শেখ নাজির ও স্থানীয় নেতা মিনু মোল্লার মধ্যে বিবাদ রয়েছে। দু’জনেরই কিছু অনুগামী রয়েছে বলেও তৃণমূলেরই একটি সূত্রের দাবি। শেখ নাজিরের অনুগামীদের অভিযোগ, রবিবার রাতে তৃণমূল কার্যালয়ের বাইরেই মিনু মোল্লার লোকেরা তাদের উপরে চড়াও হয়। ইট ছুড়তে থাকে। তার পর বোমও ফাটায়। শেখ নাজিরের অনুগামী বলে এলাকায় পরিচিত শেখ হালিফ তাতে আহত হন। তাঁর ডান হাতে আঘাত লাগে।
যদিও এ অভিযোগ মানতে চাননি মিনু মোল্লার অনুগামীরা। উল্টে তারাও দোষারোপ করেছেন অন্য একটি দলের অনুগামীদের। দু’পক্ষই বিভিন্ন সময়ে আসা উন্নয়নের টাকা নিয়ে নয়-ছয়ের অভিযোগ তুলেছে দু’পক্ষের বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয় একটি সূত্রের দাবি, রবিবার রাতের ঘটনায় আরও কিছু জন আহত হয়েছেন। পুলিশের জেরার ভয়ে তারা গা-ঢাকা দিয়ে থাকতে পারেন। ঠিক কী হয়েছে, তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ।