বাঁকুড়া জেলা স্কুলে ছাত্রদের সঙ্গে আড্ডায় সুভাষ। নিজস্ব চিত্র ।
কোথায় গেল ২৫ কোটি টাকা? বিজেপি প্রার্থী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের উদ্দেশ্যে জনসভা থেকে সমাজমাধ্যমে এই প্রশ্ন ছুড়ছেন বাঁকুড়ার তৃণমূল নেতৃত্ব। কিছুদিন আগে ইনস্টাগ্রামে সুভাষের ছবি দিয়ে কোথায় সাংসদের এলাকা উন্নয়নের তহবিলের ২৫ কোটি টাকা গেল, সেই প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের রাজ্য নেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবার মেজিয়ার বাগানগড়ায় দলীয় সভায় তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অরূপ চক্রবর্তী কটাক্ষ করেন, ‘‘পি সি সরকার ট্রেন উধাও করেছিলেন। সুভাষ সরকার তাঁর সাংসদ তহবিলের ২৫ কোটি টাকা গায়েব করেছেন। দু’জনেই জাদুকর!’’
অভিযোগ উড়িয়ে সুভাষ দাবি, ‘‘কোভিড পরিস্থিতির জন্য এ বার সংসদ তহবিলের একাংশ আগেই কেটে নেওয়া হয়েছে। হাতে পাওয়া ১৬ কোটি ৬৬ লক্ষ টাকার মধ্যে কেবল ২৮ হাজার টাকা ছাড়া পুরোটাই খরচ করা হয়েছে। পথবাতি থেকে কমিউনিটি হল, স্কুল ভবন থেকে পাঁচিল তৈরির মতো নানা কাজ হয়েছে ওই টাকায়। তিনি বলেন, ‘‘সাংসদ তহবিলের অর্থ কোথায়, কতটা খরচ হয়েছে, তৃণমূল নেতৃত্ব নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে দেখতে পারবেন। রাজনৈতিক স্বার্থে গলা ফাটালে সত্যিটা মিথ্যা করতে পারবেন না।’’
বাঁকুড়ার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মুনমুন সেনের তহবিলের ২ কোটি টাকাও তিনি উন্নয়নের কাজে লাগিয়েছেন বলে দাবি সুভাষের। তিনি বলেন, ‘‘প্রাক্তন সাংসদের খরচ না হওয়া ২ কোটি টাকা পড়ে থেকে থেকে নষ্ট হচ্ছিল। সেটাও আমি প্রশাসন ও কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে কাজে লাগানোর ব্যবস্থা করেছি।’’
বুধবার প্রচারে নেমে বাঁকুড়া জেলা স্কুলে যান সুভাষ। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। শিক্ষকদের কাছে স্কুলের সমস্যা নিয়ে খোঁজ নেন। তৃণমূল নেতা অরূপের কটাক্ষ, ‘‘শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী হয়ে তাঁর এত বছরে জেলা স্কুলে যাওয়ার সময় হল না। নির্বাচনের আগে নাটক হচ্ছে!’’ সুভাষের দাবি, ‘‘আমি জেলা স্কুলের প্রাক্তনী। গতবারও প্রচারে নেমে স্কুলে গিয়েছিলাম। সাংসদ হয়েও স্কুলের সুবিধা অসুবিধা জানতে দু’বার গিয়েছি। তৃণমূল নেতারা আমার কাজের খবর না রেখে প্রশ্ন তুলে নিজেদেরই বোকা প্রমাণিত করছেন।’’