সমাবেশে ভিড় নিয়ে মতদ্বন্দ্ব শাসক, বিরোধীর

তৃণমূল সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের পরে নানুরের শহিদ সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত দলের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নানুর শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৯ ০০:০১
Share:

দলের শহিদ সমাবেশে ৫০ হাজার লোক সমাবেশের ‘চ্যালেঞ্জ’ নিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তা নিয়ে বিরোধী শিবির তো বটেই, তৃণমূলের অন্দরমহলেও ছিল সংশয়। কার্যত সেই সংশয়ই সত্যি হলো। বিরোধীদের দাবি, শনিবারের শহিদ সমাবেশে সব থেকে কম ভিড় জমেছে। তাদের দাবি, হাজার দশেকও লোকও হয়নি। তৃণমূল অবশ্য বিরোধীদের ওই হিসেব মানেনি। তাদের দাবি, ৩০ হাজারের বেশি লোক হয়েছে।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রে খবর, লোকসভা নির্বাচনের পরে নানুরের শহিদ সমাবেশে রেকর্ড সংখ্যক জমায়েত দলের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কারণ ওই নির্বাচনের পর থেকেই বিজেপিতে নাম লেখানোর হিড়িকের পাশাপাশি বিরোধীদের কর্মসূচিতে ভিড় বৃদ্ধিতে তৃণমূল নেতৃত্বের কপালে ভাঁজ পড়েছিল। পাশাপাশি কাটমানি নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে নিচুতলার নেতা-কর্মীরাও অনেকে মনোবল হারিয়ে ফেলছেন। দলের অন্দরমহলের খবর, তাঁদের মনোবল ফেরাতে শান্তিমিছিলের তকমা দিয়ে বিজয় মিছিল করতে হয়েছে।

বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ মন্ডলের বক্তব্য, ‘‘এক সময় শহিদ সমাবেশে বাসাপাড়া এলাকায় তিলধারণের জায়গা থাকত না। এ বার দশ হাজার লোকও হয়নি। দুর্নীতি আর অহঙ্কারের জন্যে মানুষ যে আর ওদের সঙ্গে নেই, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’’

Advertisement

তৃণমূলের জেলা কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান পাল্টা মন্তব্য, ‘‘বিজেপি কি মাঠে এসে লোক গুনে দেখেছে নাকি?’’ তাঁর দাবি, ৩০ হাজারের বেশি লোক হয়েছে। চাষের মরসুম না হলে আরও লোক হতো।

২০০০ সালে নানুরের সূঁচপুরে ১১ জন তৃণমূল সমর্থক খেতমজুর খুন হন। পরের বছর থেকে বাসাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শহিদবেদী তৈরি করে শহিদ দিবসের আয়োজন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা এবং রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি ওই সমাবেশে হাজির থেকেছেন মমতাও। এ দিনের সমাবেশে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মলয় ঘটক, চন্দ্রনাথ সিংহ, সাংসদ অসিত মাল, জেলা পরিষদ সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, কেতুগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ, ব্লক কার্যকরী সভাপতি কাজল শেখ, ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য৷ ফিরহাদ বলেন, ‘‘আমাদের দলের কেউ কাটমানি নেননি। কংগ্রেস আর সিপিএম নিয়েছে৷ তাই কেউ যদি কাটমানির জন্য চাপ সৃষ্টি করে আপনারা উজ্জলা প্রকল্প, কালোটাকা ফেরতের জন্য পাল্টা চাপ দিন।’’

সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোমের কটাক্ষ, ‘‘ওদের মাথার ঠিক নেই৷ দলনেত্রী কাটমানি ফেরত দিতে বলছেন, অথচ মন্ত্রী তা অস্বীকার করছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement