ইন্দাসে বজ্রাঘাতে আহতদের পাশে অভিষেক। ছবি: শুভ্র মিত্র ও শুভেন্দু তন্তুবায়
তৃণমূলের সভায় গিয়ে বাজ পড়ে মৃতের পরিবার ও আহত কর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সোমবার বাঁকুড়ার ইন্দাস থেকে ফের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শুরু করলেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা করে কথা বলার পাশাপাশি এ দিন রীতিমতো তাঁদের গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দ্রুত আরোগ্যের বার্তা দেন তিনি।
এতে শুধু আহতেরা নন, ইন্দাসের কর্মীদেরও মনোবল অনেকটা বাড়ল, বলছেন দলের স্থানীয় নেতৃত্বেরা।
গত ৩০ এপ্রিল ইন্দাসের শাসপুরে দলের সভায় যোগ দিতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল কর্মী সামেদ মল্লিকের। ঘটনায় আহতও হন অনেকে।
এ দিন নির্ধারিত সময়ের আগে ইন্দাস হাইস্কুলের মাঠে তৈরি নির্দিষ্ট মঞ্চে পৌঁছে গিয়েছিলেন মৃত সামেদের পরিবার ও আহতেরা। ‘হেলিপ্যাড’ থেকে সোজা সেখানে পৌঁছন অভিষেক। সঙ্গে ছিলেন দলের বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়, বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সুব্রত দত্ত, ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ প্রমুখ।
মৃত সামেদের স্ত্রী টিয়া বেগমের কাছে অভিষেক ওই দিনের ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। দুঃখপ্রকাশ করে সান্ত্বনা দেন। দলের তরফে সাহায্য মিলেছে কি না, তা-ও জানতে চান। পরে, টিয়া বলেন,“চাকরির জন্য বলেছি। উনি (অভিষেক) বিষয়টি দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।”
সে দিনের ঘটনায় আহত আব্দুল হাইও বলেন, “উনি (অভিষেক) ধৈর্য ধরে সকলের কথা শুনেছেন। এত বড় মাপের নেতা এ ভাবে যে সকলের খোঁজ-খবর নেবেন, ভাবতে পারিনি। সাবধানে থাকতে বললেন। পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন।”
অভিষেকের এ দিনের ব্যবহারে আপ্লুত বলে জানান তাঁকে কাছ থেকে দেখা মনসা বাগদি, রফিকুল ইসলামেরাও।
ব্লক সভাপতি শেখ হামিদ বলেন, “দুর্ঘটনার পরেই দাদা (অভিষেক) বলেছিলেন, ওখানে যাব। তিনি শুধু আহতদের চিকিৎসার খবর নয়, তাঁদের পরিবার কী ভাবে রয়েছে, তার খোঁজ নিয়েছিলেন। প্রতিটি পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। দলের কর্মী হিসেবে গর্ববোধ করছি।”
বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অলক মুখোপাধ্যায়ও বলেন, “আগামী তিন-চার মাস আহতদের চিকিৎসা ও তাঁদের সংসার খরচের দিকটি দল দেখবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন। উনি এ ভাবে পাশে দাঁড়ানোয় আমাদের মনোবল কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে।”