দলবদল: তৃণমুলের পতাকা নিয়ে। ময়ূরেশ্বরে। ছবি: কল্যাণ আচার্য
বিজেপির প্রতীকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তার পরই তৃণমূলে যোগ দিয়ে ভোটযুদ্ধের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করলেন। এমন কাণ্ডে ময়ূরেশ্বর ২ ব্লকের উলকুণ্ডা পঞ্চায়েত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে শাসক দল। বর্তমানেও সেটি তৃণমূল শাসিত।
প্রশাসনিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির ২১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৮টি দখল করেছে। ৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে ৪টি। বাকি তিনটি পঞ্চায়েতের মধ্যে অন্যতম উলকুণ্ডা। ওই পঞ্চায়েত এলাকারই বাসিন্দা দলের ব্লক সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্র। ২০১৩ সালে ১১ আসন বিশিষ্ট পঞ্চায়েত ছিল বিরোধীশূন্য। ওই পঞ্চায়েতের অধীনে পঞ্চায়েত সমিতির তিনটি আসন ছিল শাসক দলের দখলে। কিন্তু এ বার ওই পঞ্চায়েতের ৬টি আসনে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। ফের ওই পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল নিয়ে দলের অন্দরে সংশয় ছড়িয়েছিল।
অবশেষে তা কাটল।
বুধবার ওই বিজেপি প্রার্থীরা তৃণমূলের ষাটপলশা আঞ্চলিক কমিটির অফিসে গিয়ে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেন। পরে তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন দলের ব্লক সভাপতি নারায়ণপ্রসাদ চন্দ্র, ব্লক যুব সভাপতি চন্দ্রনীল ঘোষ, জেলা পরিষদের বিদায়ী খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ জটিল মন্ডল, ব্লক সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জয়নাল আবেদিন শেখ, উলকুণ্ডা অঞ্চল কমিটির সভাপতি সামসুল আলম মল্লিক।
এ দিন দল বদল করেন দীপঙ্কর বাগদি, ছবি ভল্লা, প্রভাত দাস। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘আমরা ভুল করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলাম। পরে সরকারের উন্নয়নের কাজ দেখে ভুল ভেঙেছে। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বদলে তৃণমূল প্রার্থীদেরই ভোট দেওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব।’’
বিজেপির ময়ূরেশ্বর ২ মণ্ডল কমিটির সভাপতি সন্দীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, ‘‘আমাদের দলের ওই প্রার্থীদের হুমকি দিয়ে দল বদলাতে বাধ্য করা হয়েছে।’’
অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি নারায়ণবাবু বলেন, ‘‘কাউকে কোনও হুমকি দেওয়া হয়নি। বিজেপি ভুল বুঝিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাঁদের প্রার্থী করেছিল। তা বুঝতে পেরে তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’