নাজমা খাতুন ও রাবিয়া খাতুন। —নিজস্ব চিত্র।
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী সোমবার থেকে। কিন্তু অ্যাডমিট কার্ড না আসায় চরম উদ্বেগে বীরভূমের সিউড়ি এক নম্বর ব্লকের অজয়পুর হাইস্কুলের তিন ছাত্রী। বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে জেনে এ নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন বীরভূমের বিদ্যালয় পরিদর্শক।
রাবিয়া খাতুন এবং নাজমা খাতুন নামে অজয়পুর হাইস্কুলের দুই ছাত্রীর দাবি, এখনও পর্যন্ত তাদের হাতে অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছয়নি। তারাই জানিয়েছে, ওই স্কুলের আরও এক ছাত্রী অ্যাডমিট কার্ড পায়নি। তবে তার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ নিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে রাবিয়া এবং নাজমা। রাবিয়ার কথায়, ‘‘আমরা সকলে ফর্ম ফিল আপ করেছিলাম। আমার দাদার অ্যাডমিট কার্ড চলে এসেছে। অথচ আমার আসেনি। একটু আগে স্যার ফোন করে বললেন, অ্যাডমিট কার্ড আর আসবে না। তা হলে কি আমার একটা বছর নষ্ট হবে? আমি পরীক্ষা দিতে চাই।’’
একই সুর নাজমারও। তার বক্তব্য, ‘‘এখনও অ্যাডমিট কার্ড পাইনি। অথচ সোমবার পরীক্ষা। এক বছর পড়লাম। কী যে হবে জানি না। স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। স্যাররা বলেছেন, আর অ্যাডমিট কার্ড আসবে না। রেজিস্ট্রেশনও আসেনি। অথচ শিক্ষকেরা বলেছিলেন, চলে আসবে। এখন কার্ড না পেয়ে খুব হতাশ লাগছে।’’
নাজমার বাবা শেখ সামসুদ্দিনের কথায়, ‘‘আমি যখন বিষয়টি নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম তখন শিক্ষকেরা বলেছিলেন, ‘নিশ্চিন্ত থাকুন। অ্যাডমিট কার্ড পাবেন।’ আর এখন বলছেন, ‘আর অ্যাডমিট কার্ড পাবে না।’ আমার মেয়ের কি এক বছর নষ্ট হবে? আমরা চাই, যে করে হোক ওরা যেন পরীক্ষায় বসতে পারে।’’
বিষয়টি সংবাদমাধ্যমের কাছে জানতে পেরে দ্রুত পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছেন বীরভূম জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শক চন্দ্রশেখর জাউলিয়া। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমরা খবর পেয়েই স্কুলের প্রধানশিক্ষককে নির্দেশ দিয়েছি, শিক্ষা দফতরে দ্রুত যোগাযোগ করতে। কারণ, এখনও শিক্ষা দফতর খোলা রয়েছে। আমি অজয়পুর হাইস্কুলের স্কুলের প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে আরও এক বার যোগাযোগ করব। এক জন পড়ুয়া পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বসে থাকবে এটা বাঞ্ছনীয় নয়।’’