ডেকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ, ধৃত তিন

ধৃতদের ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে সোমবার সিউড়ির এসিজেএস আদালতে তুলেছিল পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

মহম্মদবাজারে আদিবাসী এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও অভিযুক্তদের ‘হুমকি’-র জেরে নির্যাতিতার আত্মহত্যার ঘটনার রেশ কাটেনি। সেই মহম্মদবাজার থানা এলাকায় ফের এক স্বামী বিচ্ছিন্না আদিবাসী যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ঝাড়খণ্ডের রানিশ্বর থানা এলাকার বাসিন্দা বছর আঠাশের এক যুবতীর সঙ্গে ঘটনাটি ঘটেছে মহম্মদবাজারের সেকেড্ডার গোপালনগর জঙ্গল লাগোয়া পাম্পহাউসে। রবিবার অভিযোগ পাওয়ার পরই পুলিশ অভিযুক্তদের মধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা হল, মনিরুদ্দিন শেখ ওরফে মনি শেখ, নিজামউদ্দিন শেখ ওরফে নিজাম ও নীলবাবু মির্ধা। প্রত্যেকের বাড়ি সেকেড্ডা গ্রাম পঞ্চয়াতের বনবাতাসপুর গ্রামে। লখাই শেখ নামে আরেক অভিযুক্ত পলাতক। মহম্মদবাজার থানা এলাকায় বারবার গণধর্ষণের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে।

ধৃতদের ১০ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে চেয়ে সোমবার সিউড়ির এসিজেএস আদালতে তুলেছিল পুলিশ। এপিপি চন্দ্রনাথ গোস্বামী জানিয়েছেন, নমুনা সংগ্রহ, ঘটনা পুনর্নির্মাণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের খোঁজ ও তদন্তের জন্য বিচারক ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন। পুলিশের আবেদন অনুযায়ী নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্ট হয়েছে ও আদালতে তাঁর গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়।

Advertisement

পুলিশ ও নির্যাতিতার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে স্বামী বিচ্ছিন্না ওই তরুণীর একটি সন্তান রয়েছে। ধৃতদের মধ্যে নিজামউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর পূর্ব পরিচয় ছিল। শনিবার বিকেল ৪টে নাগাদ ফোন করে নিজামই ওই তরুণীকে ঝাড়খণ্ডের একটি জায়গায় ডাকে । সেখান থেকে তাঁকে মোটরবাইকে তুলে মহম্মদবাজারে নিয়ে আসা হয়। সেই সময় লখাই শেখ নামে নিজামের আরেক সঙ্গী ছিল। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, কিছুক্ষণ গল্প করার পরই আরও দুই সঙ্গী জুটে যায়। তারপরই তাঁকে জোর করে জঙ্গল লাগোয়া একটি সাবমার্সিবল পাম্প শেডে নিয়ে গিয়ে বারবার ধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।

নির্যাতিতা জানান, ঘটনার পর তাঁকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে শনিবার রাতে এক নিকটাত্মীয় তাঁকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরদিন মহম্মদবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই আদিবাসী তরুণী। জেলা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, খবর পাওয়া মাত্রই যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পলাতক অভিযুক্তেরও খোঁজ চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement