প্রতীকী ছবি।
এ বার দুর্গোৎসবকে কাজে লাগিয়ে জনসংযোগে নামতে চলেছে বিজেপি। জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে প্রত্যেক জেলা, মণ্ডল ও বুথ স্তরের নেতাদের সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের দলীয় প্রচার সেরে নেওয়াই এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পরেই অনুব্রতের না থাকার সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছেন বিরোধী দলের নেতারা। এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর মতো বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবকে হাতছাড়া করতে নারাজ গেরুয়া শিবির। বিজেপি দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে সমস্ত স্তরের নেতাদের নিজের নিজের এলাকার ক্লাব বা পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা, নিয়মিত সেখানে যাওয়া এবং পুজোর কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জেলা বিজেপির নেতারা জানান, পুজো কমিটির সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের পাশাপাশি, প্রত্যেক জায়গায় পুজো উপলক্ষে বিজেপির ব্যানার লাগানো হবে। এ ছাড়া, পুজোর সময় সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নানা কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলা হবে। সচেতন করা হবে শাসক দলের নানা দুর্নীতি নিয়েও।
অন্য দিকে, এখন চলছে সেবা পক্ষকাল কর্মসূচি। এ তালিকায় রয়েছে বৃক্ষরোপণ, স্বচ্ছতা মিশন, রক্তদান শিবির-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি। বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সেই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। ২ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে। এই কর্মসূচি সেরেই বিজেপির নেতারা পুজোকে কাজে লাগিয়ে জনসংযোগে জোরকদমে নামবে বলে বিজেপির দলীয় সূত্রে খবর।
বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, ‘‘আমাদের জেলা থেকে মণ্ডল সকল স্তরের নেতাদের পুজোর কমিটিগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’
যদিও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের দাবি, বিজেপি পুজোয়ক্লাবে ক্লাবে জনসংযোগ বাড়ানোর কর্মসূচি নিলেও এ ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও এগিয়ে তৃণমূল। কারণ তৃণমূলের বহু নেতাই দীর্ঘদিন ধরে নানা পুজোর সঙ্গে যুক্ত তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার ক্লাবগুলিকে সহায়তার জন্য ৬০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছে। এ ছাড়া আমাদের নেতা, কর্মীরা সারা বছরই মানুষের পাশে থাকেন। তাই পুজোকে কেন্দ্র করে আলাদা কোনও কর্মসূচি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।’