ব্লক থেকে পুরুলিয়া জেলা সদরে আনা হল ব্যালট বক্স। নিজস্ব চিত্র।
ইভিএম-এর মতো এ বার থেকে ব্যালট বক্সের গায়েও লাগানো হবে ইউনিক নম্বর এবং কিউআর কোড। যার ফলে ইভিএমের মতোই ব্যালট বক্সের হিসেব রাখা প্রশাসনের পক্ষে সহজ হবে। এই কাজের জন্য বিভিন্ন ব্লকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ব্যালট বক্সগুলিকে সোমবার থেকে জেলা সদরে আনা শুরু করেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর, খুব শীঘ্রই ব্যালট বক্সগুলির গায়ে কিউআর কোড লাগানোর কাজ শুরু হবে। যেহেতু সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই দ্রুত এই কাজ সেরে ফেলতে বলা হয়েছে। পুরুলিয়ার জেলাশাসক রজত নন্দা বলেন, ‘‘রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মতো এই কাজ করা হচ্ছে।’’
মঙ্গলবার পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) মুফতি সামিম সওকত বলেন, ‘‘যেমন ইভিএম এবং ভিভিপ্যাট-এর একটি নির্দিষ্ট আইডি নম্বর থাকে, সে রকমই ব্যালট বক্সগুলিতেও একটি নম্বর ও কিউ আরকোড থাকবে। তা স্ক্যান করা যাবে। সেগুলি কোন ব্লকে পাঠানো হচ্ছে, সে তথ্য লেখা থাকবে। ফলে কোন ব্যালট বাক্স কোথায় আছে, সহজেই সেটির অবস্থান জানা যাবে।’’
তিনি জানান, নতুন ব্যালট বক্সগুলিতে নম্বর দেওয়াই রয়েছে। কিন্তু পুরনো বক্সগুলিতে নম্বর দেওয়া নেই। তাই সেগুলি সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। পুরনো বক্সগুলির মধ্যে যেগুলি ব্যবহারের যোগ্য সেগুলিতে নম্বর ও কিউআর কোড দিয়ে স্ক্যান করা হবে। এই কাজ একটি এজেন্সি করবে। চলতি মাসের শেষে পুরুলিয়া জেলায় এই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগে ব্যালট বক্সে নির্দিষ্ট নম্বর ও কিউআর কোড সাঁটানো থাকত না। ছোট-বড় আয়তনের তিন রকমের ব্যালট বক্স ব্যবহার করা হত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়। ব্যালট বক্সে কিউআর কোড ও ইউনিক নম্বর এই প্রথম চালু হচ্ছে।