ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার বিশ্বভারতীর সমস্ত ভবনের অধ্যক্ষ এবং বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে উপাচার্য এবং অন্য আধিকারিকরা বাংলাদেশ ভবনে বৈঠক করলেন। ৩১ অগস্ট পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করার যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তার পুনর্বিবেচনা এবং অন্তিম সিমেস্টারের পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নির্ধারণই ছিল বৈঠকের মূল বিষয়বস্তু।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা বিশ্বভারতীর পরিদর্শক প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন ও দুই মিনিট নীরবতা পালন করে বৈঠক শুরু হয়। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর প্রণববাবুর মৃত্যুতে শ্রদ্ধা জানাতে সন্ধ্যা সাতটা থেকে বিশেষ মন্দিরেরও আয়োজন করছে বিশ্বভারতী। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সূচি অনুযায়ী আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই যে কোনও রকম ভাবে অন্তিম সিমেস্টারের পরীক্ষা সম্পন্ন করবে বিশ্বভারতী।
তবে, অফলাইন না অনলাইন— কোন পদ্ধতিতে অন্তিম সিমেস্টারের পড়ুয়াদের পরীক্ষা হবে, তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন ভবনের অধ্যক্ষরাই। প্রত্যেকটি ভবনের অধ্যক্ষরা সমস্ত বিভাগীয় প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এবং সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের জানিয়ে দেবে। একইসঙ্গে এ দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে বুধবার থেকে আবার স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু হবে বিশ্বভারতী সমস্ত অফিসগুলিতে।
যদিও পড়ুয়াদের একাংশ এই সিদ্ধান্ত সামনে আসার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, “সেপ্টেম্বর মাসে ট্রেন চলাচলের কোনও সম্ভাবনা নেই। ভারতে সংক্রমণের হারও ঊর্ধ্বমুখী। এই পরিস্থিতিতে অফলাইন পরীক্ষা অসম্ভব।” অন্য দিকে, এত কম সময়ের নোটিশে অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সকলের কাছে পৌঁছনো বা সকলের প্রকৃত মূল্যায়ন আদৌ সম্ভব হবে কিনা, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও।