পুরুলিয়ার রবীন্দ্রভবনে বক্তব্য রাখছেন প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র
কাতারে উৎকৃষ্ট মানের ছাগলের মাংস রফতানি করেছে রাজ্য সরকার। প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে এসে মঙ্গলবার পুরুলিয়ায় এমনই দাবি করলেন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘‘বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের উৎকৃষ্ট মানের ছাগলের মাংসের চাহিদা বাড়ছে আন্তর্জাতিক বাজারে। সম্প্রতি কাতারে পশ্চিমবঙ্গের ছাগলের মাংস পাঠানো হয়েছিল। হরিণঘাটার কেন্দ্র থেকে সেখানে আট লক্ষ টাকার মাংস রফতানি করা হয়।’’
এ বার রাজ্যস্তরের প্রাণিসম্পদ বিকাশ সপ্তাহের অনুষ্ঠান হচ্ছে পুরুলিয়ায়। এ দিন পুরুলিয়া শহরের রবীন্দ্রভবনে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন দফতরের মন্ত্রী। ছিলেন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের মন্ত্রী সন্ধ্যারানী টুডু, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাতো-সহ জেলা পরিষদের সমস্ত কর্মাধ্যক্ষেরা।
তার আগে জিইএল চার্চের মাঠ থেকে রবীন্দ্রভবন পর্যন্ত পদযাত্রা হয়। মন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন জেলাশাসক রজত নন্দা, জেলা পরিষদের প্রাণিসম্পদ দফতরের কর্মাধ্যক্ষ মেঘদূত মাহাতো, কো-মেন্টর জয় বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ।
পরে রবীন্দ্রভবনের অনুষ্ঠানে মন্ত্রী স্বপন জানান, ব্ল্যাক বেঙ্গল প্রজাতির ছাগল প্রতিপালনের আর্দশ জায়গা হচ্ছে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম। এই এলাকায় ব্ল্যাক বেঙ্গল পালনের জন্য বিশেষ কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। এক একর জমির প্রয়োজন। পুরুলিয়ার জেলাশাসক সেই জমির ব্যবস্থা করে দেবেন বলে জানিয়েছেন। সেই কেন্দ্র থেকে বিদেশে মাংস রফতানি করা সম্ভব হবে বলে মন্ত্রীর দাবি। এ ছাড়া হরিণঘাটার ‘রেডি টু ইট’ মাংসের বিপণন কেন্দ্র পুরুলিয়ায় খোলার পরিকল্পনা দফতরের আছে বলে জানান মন্ত্রী।
তবে এখনও রাজ্য চাহিদার তুলনায় ডিম উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে আছে বলেই শীতকালে ডিমের দাম কিছুটা বাড়ছে বলে স্বীকার করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে বর্তমানে বছরে এক হাজার ৪৪০ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। চাহিদা অনুযায়ী ২৩৭ কোটি ডিম আরও উতপাদন করতে হবে রাজ্যকে।’’ তিনি জানান, সে জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগামী বছরের মধ্যেই ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে বলে তাঁর আশ্বাস।