বেহুঁশ বাঁদর। নলহাটির কলেজ মোড় এলাকায়। নিজস্ব চিত্র
কার্যত চোর-পুলিশ খেলে অবশেষে বন দফতর ধরল সেই বাঁদর, ‘রাজা’কে।
সোমবার সকাল থেকে বাঁদরটির খোঁজে জাল, খাঁচা ও ঘুমপাড়ানি গুলি-বন্দুক নিয়ে ওত পেতে বসেছিলেন বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা। বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কর্মী নিয়ে আসা হয়েছিল বর্ধমান ও বাঁকুড়া থেকে। তাঁরাই বাঁদরটিকে গুলি করেন। গুলি ‘রাজা’র গায়েও লাগে। কিন্তু বাঁদরটি বন দফতরের চোখে ধুলো দিয়ে কাছেই একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরিবারের একজন বাঁদরটিকে ঘরে ঢুকতে দেখেন। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার হদিস মিলছিল না। ওই খবর বন দফতরের কাছে পৌঁছতেই তারা সেই বাড়ি তল্লাশি শুরু করে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে একটি ঘরের বিছানার নিচে বাঁদরটিকে দেখা যায়। ততক্ষণে সেটি খানিকটা িঝমিয়েও পড়েছে। বন দফতর সতর্ক হয়ে সমস্ত মানুষজনকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়। পরে জাল নিয়ে ধরে বাঁদরটিকে খাঁচাবন্দি করা হয়। বাঁদর ধরা পড়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন এলাকাবাসী। তাঁরা বলছেন, ‘‘এরপরে আমরা নিশ্চিতে যাতায়াত করতে পারব। বাচ্চারা খুশিমনে খেলতে পারবে।’’ এলাকাবাসী রাইফ শেখ বলেন, ‘‘ওই বাঁদরটি এক বছর ধরে এলাকায় ছোট, বৃদ্ধ, মহিলা, স্কুল কলেজের শতাধিক মানুষকে কামড়েছে। এর আগেও বন দফতর এসেছিল। ধরতে পারেনি। তবে তিনদিন বন দফতরের আধিকারিক ও কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। বাঁদরটিকে ধরতে না পেরে ফেরেননি। তাই এই সাফল্য।’’
বন দফতরের তুম্বুনি রেঞ্জের রেঞ্জার সুষেণ কর্মকার বলেন, ‘‘বাঁদরটিকে ধরার জন্য দক্ষ কর্মী নিয়ে এসেছিলাম। এলাকায় বাঁদরের কামড়ে যে সব ব্যক্তি আহত হয়েছেন তাঁদের দফতরের নিয়ম মেনে চিকিৎসার খরচা দেওয়া হবে। বাঁদরটির চিকিৎসা চলছে। পরে ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ করে সেটির কী ব্যবস্থা করা যায় তা দেখা হবে।’’