বিষ্ণুপুরের বিভিন্ন রাস্তার নামকরণ হল। নিজস্ব চিত্র
পুরসভার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার বিষ্ণুপুর শহরের মূল রাস্তাগুলির নামকরণ করা হল। নামকরণের জন্য বেছে নেওয়া হল বিষ্ণুপুরের স্মরণীয় ভূমিপুত্রদের নাম।
পুরসভা সূত্রে জানা যায়, বোলতলা থেকে সত্যপীরতলা রাস্তার নাম রাখা হয়েছে ‘শিশির রায় সরণি’। বিষ্ণুপুর পুরসভায় তাঁর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ও রাজনৈতিক কাজকর্ম নিয়ে আলোচনা হয়।
সত্যপীরতলা থেকে কাদাকুলি রাস্তার নাম হয় ‘শিবদাস ভট্টাচার্য সরণি’। তিনি ছিলেন বিষ্ণুপুরের ভূমিপুত্র তথা ১৯০৪ সালে বিষ্ণুপুর পুরসভার সহ-সভাপতি। বিষ্ণুপুরের উন্নয়নের জন্য তিনিই প্রথম ব্রিটিশ সরকারের কাছে দরবার করে টাকা বরাদ্দ করিয়েছিলেন। মাড়ুইবাজার থেকে সঙ্কটতলা রাস্তার নামকরণ হল ‘বশীশ্বর সেন সরণি’। তিনি ছিলেন ভারতীয় সফল কৃষি বিজ্ঞানী। জয়রামবাটি থেকে দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার পথে সারদাদেবী বিষ্ণুপুরের গড়দরজা এলাকায় তাঁর বাড়িতেই বিশ্রাম নিতেন।
সঙ্কটতলা থেকে গুমঘর পর্যন্ত ‘চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত সরণি’। তিনি ছিলেন পুরাতত্ত্ব গবেষক তথা ‘বিষ্ণুপুরের জীবন্ত ইতিহাস’। বিষ্ণুপুরের আচার্য যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবনের আমৃত্যু সদস্য সচিব ছিলেন চিত্তরঞ্জন দাশগুপ্ত। এ দিন ‘চিত্তরঞ্জন মানিকলাল আকাডেমির’ পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গুণমুগ্ধ সদস্যেরা।
এ ছাড়াও গুমঘর থেকে পাথরদরজা রাস্তাটি ‘বীরহাম্বীর সরণি’ নাম করা হয়েছে। হাইস্কুল মোড় থেকে গুমঘর রাস্তাটি করা হল ‘মানিকলাল সিংহ সরণি’। তিনিও ছিলেন প্রখ্যাত প্রত্নতত্ত্ববিদ ও লেখক। বিষ্ণুপুরের আচার্য যোগেশচন্দ্র পুরাকৃতি ভবন ও বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ বিষ্ণুপুর শাখার প্রধান উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক।
এছাড়াও ঢেলাদুয়ার মোড় থেকে রাধারানীর মন্দির পর্যন্ত রাস্তাটি ‘রাধালালজিউ সরণি’ নাম করা হয়। এ ছাড়া আরও কয়েকটি রাস্তা ‘কৈলাস মাতা সরণি’, ‘সিদ্ধেশ্বরী সরণি’, মনোহরদাসপল্লি, প্রাঞ্জল পল্লি হিসেবেও একাধিক রাস্তার নামকরণ করা হয়।