Murder

রাজ পরিবারের প্রবীণ সদস্যের গুলিবিদ্ধ দেহ

এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, “ওই বৃদ্ধের ছেলে সম্রাট সিংহ ঠাকুরের থেকে জানতে পারি, সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ির পরিচারিকা সলিলবাবুর ঘর থেকে গুলির শব্দ পান। গিয়ে দেখেন, তাঁর নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে গলার বাঁ দিকে গুলি চালানো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২০ ০২:১৭
Share:

বিষ্ণুপুরে সলিল সিংহ ঠাকুরের বাড়ির বাইরে ভিড়। নিজস্ব চিত্র

বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ পরিবারের প্রবীণ সদস্যের গুলিবিদ্ধ দেহ। পাশেই পড়ে ছিল লাইসেন্সড একনলা বন্দুক। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, দেহটি সলিল সিংহ ঠাকুরের (৬৩)। রাত পর্যন্ত পরিবারের তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়না-তদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে বিষ্ণুপুর হাসপাতালের মর্গে।

Advertisement

এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) প্রিয়ব্রত বক্সী বলেন, “ওই বৃদ্ধের ছেলে সম্রাট সিংহ ঠাকুরের থেকে জানতে পারি, সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ির পরিচারিকা সলিলবাবুর ঘর থেকে গুলির শব্দ পান। গিয়ে দেখেন, তাঁর নিজের লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুক থেকে গলার বাঁ দিকে গুলি চালানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে।’’ তিনি জানান, ১০টি কার্তুজ-সহ একনলা বন্দুকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে কি না, সে বিষয়ে তদন্ত শুরু করা হচ্ছে।

বিষ্ণুপুরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রাজবাড়ি এলাকায় নিজের বাড়িতে থাকতেন সলিলবাবু। এ দিন সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, মেঝেতে পড়ে রয়েছে সলিলবাবুর রক্তাক্ত দেহ। পাশে পড়ে একনলা বন্দুক। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরের পাশেই পানশিউলি প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক ছিলেন সলিলবাবু। ২০১৭ সালে চাকরি থেকে অবসর নেন। এ দিন তাঁর স্ত্রী আলপনা সিংহ ঠাকুর বলেন, “বেশ কিছু দিন ধরে হাঁটু আর পেটের ব্যথায় উনি ভুগছিলেন। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ গুলির শব্দ শুনে ঘর থেকে মেয়ে, জামাই ও ছেলে ছুটে বেরিয়ে আসে। আমি তখন বাথরুমে ছিলাম। কান্নার আওয়াজ পেয়ে তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসি।’’ সলিলবাবুর কোনও রকমের মানসিক অবসাদ ছিল না বলে দাবি করেছেন তিনি। পরিবারের আর কেউ কিছু বলতে চাননি।

Advertisement

সলিলবাবুর দীর্ঘদিনের বন্ধু কনকজ্যোতি দাস বলেন, “শুক্রবার সকালেও সলিলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। হাঁটুর যন্ত্রণায় বেশ ভুগছিল। তবে মানসিক অবসাদ ছিল বলে মনে হয় না। ৫০ বছরের বন্ধুত্ব শেষ হয়ে গেল!” ওই ওয়ার্ডের তৃণমূলের বিদায়ী কাউন্সিলর শ্রীকান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রায়ই সকালে হাঁটতে বেরিয়ে সলিলবাবুর সঙ্গে কথা হত। ভাল মানুষ ছিলেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement