প্রতীকী ছবি
কৃষি-ঋণ, ফসলবিমা কিংবা ভর্তুকি-মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি পেতে জরুরি হল কিসান ক্রেডি়ট কার্ড। সেই কার্ড থেকে এক জন কৃষক কী কী সুবিধা পেতে পারেন, তা নিয়ে ফের সচেতনতা প্রচারে নামছে প্রশাসন। জেলার প্রতিটি ব্যাঙ্কের শাখায় (রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, গ্রামীণ ব্যাঙ্ক কিংবা সমবায় ব্যাঙ্ক) আয়োজিত হবে এই সচেতনতা শিবির। প্রতিটি কৃষি উন্নয়ন সমিতিতেও হবে শিবির। আজ, বৃহস্পতিবার তা শুরু হচ্ছে। আগামী ২২ জুন এবং ৭ ও ১৫ জুলাই এই শিবির হবে। সহযোগিতায় থাকবে কৃষি দফতর।
গত নভেম্বরে ‘কিসান ক্রেডিট কার্ড’ প্রকল্প নিয়ে চাষির ‘আর্থিক অন্তর্ভূক্তি পক্ষ’ আয়োজন করেছিল প্রশাসন। তারপরও কী হাল ফিরেছে। সংশ্লিষ্ট সকলেই জানাচ্ছেন, উত্তরটা ‘না’। কিসান ক্রেডিট কার্ড থাকা সত্বেও কেন ব্যাঙ্ক থেকে কৃষি-ঋণ পাচ্ছেন না কৃষকেরা। গত ২২ মে বোলপুরের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে প্রশ্নটা তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে বোঝানো হয়েছিল, কার্ড থাকলেও বেশির ভাগ কৃষকের কার্ডই অকেজো হয়ে গিয়েছে। হয়, তিনি সেটি নবীকরণ করাননি অথবা সামান্য ঋণ নিয়ে নিয়ে দীর্ঘ দিন ব্যাঙ্কমুখো হননি। ফলে অনুৎপাদক ঋণ তৈরি হওয়ায় কার্ড সুপ্ত হয়ে রয়েছে। সে ব্যাখ্যা শুনলেও কিসান ক্রেডিট কেন জরুরি সেটা বোঝাতে উদ্যোগী হতে বলেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সেই মতোই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে রাজ্যজুড়েই এমন কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় উপস্থিত থাকবেন উচ্চপদস্থ কৃষিকর্তারা। চাষিদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কগুলি কতটা সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছে দেখা হবে সেটাও। বীরভূমে আসছেন রাজ্য কৃষি উপ-অধিকর্তা (সাধারণ) অতনু দত্ত মজুমদার। কৃষি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, জেলার ৪ লক্ষ ৫০ হাজার ৩১৩ জন কৃষক কাগজে-কলমে ক্রেডিট কার্ড পেয়েছেন। কিন্তু সেটা ব্যবহার করে সুবিধা নেন একটা অংশ মাত্র। বেশির ভাগ কার্ড অকেজো পড়ে। লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দীপ্তেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর বলছেন, ‘‘কেন কার্ডগুলি সুপ্ত বা অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে, এখন কী করণীয় নির্দিষ্ট দিনগুলিতে চাষিদের সেটা বোঝানো হবে।’’ জেলার ২৮৮টি বিভিন্ন ব্যাঙ্কের শাখা থেকে সে কাজ চলবে।
যুবতীর মৃত্যু। বাড়ি থেকে এক যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে দেহটি উদ্ধার হয়। মৃতার নাম মধুমিতা দাস (২১)। বাড়ি রামপুরহাটের নারায়ণপুর গ্রামে। পুলিশের
অনুমান, ওই যুবতী মানসিক হতাশাগ্রস্ত ছিলেন।