এই গেট বন্ধ করা নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
ফের বিতর্ক বিশ্বভারতীতে। আদালতের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাধারণের জন্য একটি রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ফলে যাঁরা নিয়মিত ওই রাস্তা ব্যবহার করতেন সকাল থেকে তাঁদের ঘুর পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে তাঁদের মধ্যে।
বেশ কিছু দিন আগে বিশ্বভারতীর মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়। বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে তৈরি হয় কমিটিও। সেই কমিটির নির্দেশ দেয়, নিরাপত্তার খাতিরে বিশ্বভারতী পাঁচিল দিয়ে গেট বসাতে পারে। কিন্তু সেই গেট সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য খোলা রাখতে হবে।
সেই নির্দেশের পর একাধিক গেট তৈরি হয়। ফলে এত দিন চার চাকার গাড়ি চলাচল না করতে পারলেও সাইকেলে, বাইকে বা হেঁটে যাতায়াত করা যেত। কিন্তু শুক্রবার কার্যত আদালতের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বভারতীর শিক্ষক কর্মচারী পড়ুয়া ছাড়া বাকিদের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হল। সেন্ট্রাল অফিসের সামনে রাস্তার ২ দিকের গেটই সাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই সব কিছুই উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নির্দেশে হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এই রাস্তা মেলার মাঠ এবং শান্তিনিকেতন থানা এলাকায় যাতায়াতের মূল রাস্তা। এই রাস্তা ব্যবহার করতে না পারার ফলে স্থানীয়দের প্রায় ২ কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দা সেতু রহমান এবং নুরুল হক এক সুরে বলেন, “এটা সাধারণের ব্যবহারের একটি রাস্তা। সেটি কী ভাবে বিশ্বভারতী বা উপাচার্য বন্ধ করে দেন, তা বুঝতে পারছি না। আর বিশ্বভারতী তো কিছু জানায়নি। আজ যাতায়াত করতে গিয়ে দেখলাম এই অবস্থা। উপাচার্য নিজের ইচ্ছা মতো যা খুশি তাই করছেন আর কিছু বলারও কেউ নেই।”
বিষয়টি নিয়ে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও রাত পর্যন্ত কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।