পোড়ামািটর ক্যালেন্ডার (ইনসেটে) তৈরি হচ্ছে পাঁচমুড়ায়। নিজস্ব চিত্র।
দিন বদলের স্বপ্ন নিয়ে ক্যালেন্ডার তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ার টেরাকোটার গ্রাম পাঁচমুড়ায়। এসেছে বরাত। হাতের কাজ সেরে ফেলতে হবে বড়দিনের মধ্যে। তালড্যাংরা ব্লকের গ্রামটিতে সম্প্রতি গিয়ে দেখা গেল, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা বেজায় ব্যস্ত।
এই প্রথম টেরাকোটার কাঠামোয় ক্যালেন্ডার তৈরি হচ্ছে পাঁচমুড়ায়। শিল্পভাবনা গ্রামের তরুণ বিকাশ কুম্ভকারের। কাজ করছেন লাঠিপাড়ার ‘মা বাসন্তী স্বনির্ভর গোষ্ঠী’র টুটুন কুম্ভকার, রূপা কুম্ভকার, পূর্ণিমা রুইদাস, মিঠু মণ্ডলের মতো বারো জন মহিলা।
বিকাশ জানান, নভেম্বরের গোড়ায় টেরাকোটার টেবিল ক্যালেন্ডারের নকশা নিয়ে একটি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। দু’হাজারটি তৈরির বরাত মেলে। তিনি বলেন, ‘‘স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছি। সাহায্যে এগিয়ে এসেছেন শিল্পী কাঞ্চন কুম্ভকার ও নাড়ুগোপাল কুম্ভকার।’’
নাড়ুগোপাল জানান, এক একটি ক্যালেন্ডারের ৪০০ গ্রাম ওজনের হচ্ছে। লম্বায় আট ইঞ্চি। চওড়ায় সাত ইঞ্চি। কাঞ্চন বলেন, ‘‘করোনার জন্য বৈশাখ থেকে বসে আছি। কাজ মিলছিল না। পর্যটকেরাও গ্রামে আসছিলেন না। বরাত পেয়ে বানানো প্রচুর জিনিস ঘরেই পড়ে রয়েছে। সামনে মেলার মরসুম। কিন্তু কতটা বিক্রি হবে বুঝে উঠতে পারছি না। অধিকাংশ শিল্পীর ঘরেই চাকার ঘুরছে না।’’
এই পরিস্থিতিতে ক্যালেন্ডারের বরাত কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছে তাঁদের। বিকাশ জানান, খোলা বাজারেও এ ধরনের ক্যালেন্ডার বিক্রির করার ভাবনা রয়েছে তাঁদের। সে ক্ষেত্রে এক-একটির দাম পড়বে ১০০ টাকা করে।