ভোটের আগে কংগ্রেসের সমঝোতা অক্সিজেন জুগিয়েছে সিপিএমকে। এমন বহু এলাকা রয়েছে যেখানে গত পাঁচ বছরে কার্যালয় খুলতে না পারলেও ভোটের মুখে সে কাজ করে দেখিয়েছে সিপিএম। নানুর, ইলামবাজারের মতো এলাকায় বড়সড় মিছিলও করেছে। তাতে সাড়া পেয়ে প্রতিবাদের রেশ ধরে রাখতে ভোটের পরেও কর্মসূচি অব্যহত রাখার সিদ্ধান্ত নিল সিপিএম।
ভোটের দিনে মহম্মদবাজারের গণপুর এলাকার কাটপাহাড়ি গ্রামে তৃণমূল সমর্থক তিন আদিবাসী পরিবারকে মারধর করে গ্রামছাড়া করার অভিযোগ ওঠে সিপিএমের বিরুদ্ধে। ওই রাতেই গনপুর, সেকেড্ডা ও ভাঁড়কাটা এলাকার সিপিএমের পঞ্চশহীদ লোকাল কমিটির সম্পাদক শিক্ষক সুশীল ঢেঙরের গণপুরের বাড়িতে পাল্টা হামলারও অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ জানায়।
ওই হামলা, পাল্টা-হামলার পরে শাসক দল মাঠে না নামলেও সিপিএম ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাঠে নামছে। আজ, শুক্রবার বিকেল পাঁচটায় সিপিএম গনপুরে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। ওই সভায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, জেলা সম্পাদক মনসা হাঁসদা-সহ একাধিক বাম নেতার উপস্থিত থাকার কথা। জোটের আবহে সেখানে উপস্থিত থাকার কথা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি-সহ এলাকার কংগ্রেস নেতৃত্ব, কর্মীদেরও।
প্রতিবাদ সভা কেন?
জেলা রাজনীতির কারবারীদের ব্যাখ্যা, এটাই হল আসল সিপিএম। কর্মসূচি জিইয়ে রেখে ফের সংগঠন চাঙ্গা করতে চাইছে দল। ঘটনা হল, একদা লালদূর্গ বীরভূমে গত বিধানসভার পর থেকে বামপন্থীরা শক্তি হারিয়েছে। তুলনায় মহম্মদবাজারে কিছুটা হলেও দলের ভীত শক্ত। পঞ্চায়েত সমিতিও দখলে রয়েছে। অনেকেই মানেন, ভোটের বাতাবরণে কিছুটা হলেও শক্তি বাড়িয়েছে সিপিএম। সেই ভিতকে আরও শক্ত করতে প্রতিবাদী সভার আয়োজন বলে তাঁদের মত।
মহম্মদবাজারের জোনাল কমিটির সম্পাদক প্রভাস মাল বলেন, ‘‘কাটপাহাড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিনা কারণে সুশীলবাবুর বাড়িতে হামলা চালায় শাসক দল। এবং তা হয় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি গৌতম মণ্ডলের নেতৃত্বে। শাসক দলের এই মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানাতেই সভা।’’ তৃণমূল নেতা গৌতমবাবুর পাল্টা দাবি, ‘‘অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। গ্রামের গরীব লোকদের গ্রামছাড়া করে সুশীলবাবুরা ভাল করেননি। এখন নাটক করে প্রতিবাদ সভা করছে!’’