আনন্দে পথে নামল দু’জেলা

বুলেটের ‘বিচারে’ উচ্ছ্বাস, সঙ্গে আশঙ্কাও

অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ ঠেকানো। সে দিকেও পুলিশের সক্রিয়তা দাবি করছেন অনেকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:১৬
Share:

মিষ্টিমুখ: তেলঙ্গানার তরুণীকে ধর্ষণ করে পুড়িয়ে দেওয়ায় অভিযুক্তদের গুলিতে মৃত্যুর খবর শুনে বাঁকুড়ার সম্মিলনী কলেজে পড়ুয়াদের উচ্ছ্বাস। ছবি: অভিজিৎ সিংহ

তেলঙ্গানা পুলিশের গুলিতে ধর্ষণে অভিযুক্তদের মৃত্যুর খবরে সারা দেশের উচ্ছ্বাসে মিলে গেলেন পুরুলিয়া-বাঁকুড়ার তরুণ-তরুণীরা। কোথাও চলল মিষ্টি বিলি। কোথাও আবার তেলঙ্গানা পুলিশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে মিছিলে হাঁটেন পড়ুয়ারা।

Advertisement

হায়দরাবাদের পশু চিকিৎসক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছিল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। নেমেছিলেন কয়েকটি সংগঠনের সদস্যেরাও। শুক্রবার সকালে খবরটা শুনেই পথে নেমে পড়েন অনেকে। খুশির জোয়ার নামে জেলার বিভিন্ন মহলে।

বেলা গড়াতেই পুলিশের গুলিতে চার অভিযুক্তের মৃত্যুর ঘটনাকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল করেন ঝালদার অচ্ছ্রুরাম মেমোরিয়াল কলেজের পড়ুয়ারা।

Advertisement

এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ কলেজ থেকে মিছিল শুরু হয়েছিল। ঝালদা শহর পরিক্রমা করে শেষ হয় পুরভবনের সামনে। মিছিলে চোখে পড়েছে ‘আগামী দিনেও ধর্ষকদের এমনই কঠোর শাস্তি চাই’ লেখা একাধিক প্ল্যাকার্ড।

মিছিলে থাকা পুলিশকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে মিষ্টি খাওয়ান ছাত্রীরা। অনেকে পুলিশকর্মীদের প্রণাম করে জানিয়েছেন, হায়দরাবাদের ঘটনায় যে ভাবে তেলঙ্গানা পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে, সে খুশিতে মিষ্টি বিলোনো হচ্ছে।

কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী দেবলিকা দাস, প্রথম বর্ষের লিপিকা দাসেরা বলেন, ‘‘আজ আমাদের কাছে অত্যন্ত আনন্দের দিন। হায়দরীবাদের ওই তরুণীর আত্মা চার অভিযুক্তের মৃত্যুতে শান্তি পেল।”

বাঁকুড়ার সম্মিলনী কলেজেও ছাত্রীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তাদের বন্ধুদের মধ্যে মিষ্টি বিলি করতে দেখা যায়। ‘সোশ্যাল মিডিয়া’তেও দিনভর নানা মন্তব্যে ঝড় বয়ে যায়।

আগে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পথে নামা রঘুনাথপুর কলেজ, পঞ্চকোট কলেজ, সিধো কানহো বীরসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অনেকেরই বক্তব্য, তাঁদের আন্দোলন এ দিন সার্থক হয়েছে। তবে একই সঙ্গে অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ অপরাধ ঠেকানো। সে দিকেও পুলিশের সক্রিয়তা দাবি করছেন অনেকে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement