বিপর্যস্ত টেলি পরিষেবা, ক্ষোভ

বারে বারে বিঘ্নিত হচ্ছে বিএসএনএল-এর ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, বীমা দফতর, বিদ্যুৎ দফতর এবং ঘরে ঘরে নানা কাজে ব্যবহারের জন্য নেওয়া একই সংযোগ থেকে লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে না। অবিলম্বে এই পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি তোলেন গ্রাহকেরা। গ্রাহকদের ক্ষোভ, বর্তমানে বিএসএনএলের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়া এবং তার ফলে ভোগান্তি নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০১৫ ০০:৩৯
Share:

বারে বারে বিঘ্নিত হচ্ছে বিএসএনএল-এর ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্ক, বীমা দফতর, বিদ্যুৎ দফতর এবং ঘরে ঘরে নানা কাজে ব্যবহারের জন্য নেওয়া একই সংযোগ থেকে লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে না। অবিলম্বে এই পরিষেবা স্বাভাবিক করার দাবি তোলেন গ্রাহকেরা।

Advertisement

গ্রাহকদের ক্ষোভ, বর্তমানে বিএসএনএলের ব্রডব্যান্ড পরিষেবা বিপর্যস্ত হওয়া এবং তার ফলে ভোগান্তি নিত্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সোমবার সপ্তাহের কর্ম দিবসের প্রথম দিন, বোলপুর ও শান্তিনিকেতন এলাকার একাধিক ব্যাঙ্কের পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়েছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও স্রেফ ‘লিঙ্ক’ না পাওয়ার কারণে জরুরি কাজ না করতে পেরে হেনস্থার মুখে পড়েছেন একাধিক উপভোক্তা। শান্তিনিকেতন স্টেট ব্যাঙ্কের গ্রাহক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু চেন্নাইয়ে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বন্ধুর আকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার কথা ছিল সুব্রতবাবুর। কিন্তু লিঙ্ক না থাকার কারণে ঠিক সময়ে জমা দিতে পারেননি টাকা। বোলপুরের চিত্রা মোড়ের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাউন্টারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও ভিন রাজ্যে থাকা আত্মীয়ের কাছে টাকা পাঠাতে পারেননি বাসুদেব ঘোষ। বোলপুর ভুবনডাঙা ও স্টেশন রোডের একটি ব্যাঙ্কের শাখাতেও একই অবস্থা। এক সময়ে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের ওপর ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় গ্রাহকেরা।

ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য নিজেদের অসহায় অবস্থার কথা হাতজোড় করে জানান ওই সব গ্রাহকদের। শুধু ওই দু’টি ব্যাঙ্কই নয় একাধিক ব্যাঙ্কের চিত্র এ দিন একই ছিল।

Advertisement

শুধু তাই নয়, এলাকার শান্তিনিকেতন রোডের ওপর থাকা শান্তিনিকেতন গ্রাহক পরিষেবাকেন্দ্রে জরুরি পরিষেবা এবং বিল জমা করতে এসে ‘লিঙ্ক’ না থাকার কারণে চরম হেনস্থার সম্মুখীন হয়েছেন গ্রাহকেরা। দফতরের জরুরি কাজ হয়নি একাধিক সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এমনিকী বিশ্বভারতীর কম্পিউটার সেন্টারে লিঙ্ক না থাকায় প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের একটি সংগঠন ভিবিইউএফ-এর পক্ষে সুদীপ্ত ভট্টাচার্য ও মহম্মদ সিরাজুল ইসলাম অবিলম্বে ইন্টেরনেট পরিষেবা সচল করার দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছিল কম্পিউটার সেন্টার কর্তৃপক্ষকে। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সভার সদস্য তথা শান্তিনিকেতনের ডেলি ব্রেড রোডের বাসিন্দা কিশোর ভট্টাচার্যের ক্ষোভ, ‘‘ব্রডব্যান্ড পরিষেবা নিয়েছি ছেলের পড়াশোনার জন্য। অথচ কোনও দিন সমস্যা গেল না।’’

কী বলছেন বিএসএনএল কর্তারা? বিএসএনএলের জেলা টেলিকম ম্যানেজার রবি কুমার বলেন, “মাটির নীচে বিদ্যুতের তার বসানোর সময় টেলিফোনের তার কাটা পড়ে থাকায় মাঝেমধ্যে সমস্যা হচ্ছিল। তবে এমন কোনও অভিযোগ পাইনি। কিন্তু এখন যে সমস্যা হচ্ছে সেটা শুধু বীরভূমে নয়। যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য রাজ্যের অনেক জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement