স্কুলের প্রশাসনিক জটিলতা কাটাতে স্কুল বন্ধ রাখলেন শিক্ষকরা!
এর ফলে মঙ্গলবার জেলার একটি স্কুলে কোনও পঠন পাঠন যেমন হল না তেমনি স্কুল বন্ধ থাকার জন্য মিড ডে মিল থেকে বঞ্চিত প্রায় ৮০০ পড়ুয়া। মুরারই থানার আমডোল উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনা। স্কুল বন্ধ রাখায় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা স্কুল শিক্ষা দফতর।
আমডোল পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের রিয়াজউদ্দিন সেখের দাবি, স্কুলে ঠিক মতো মিড ডে মিল চালু আছে কিনা প্রশাসনের নির্দেশে তদন্ত করতে আজ দুপুর বারোটা নাগাদ হাইস্কুল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। সঙ্গে একজন পঞ্চায়েত সদস্য এবং এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী ওই স্কুলে যায়। কিন্তু বাইরে থেকে দেখতে পাওয়া যায় স্কুলে কোনও শিক্ষক ও পড়ুয়া নাই! স্কুলের গেটে তালা ঝুলছে!
স্কুলের শিক্ষক বিপ্লবকুমার গড়াই, পীযূষকান্তি ঘোষ জানান, স্কুলের প্রধান শিক্ষক কুমারিশ চন্দ্র মুজকড়ি গত ১৯ তারিখ থেকে স্কুলে আসছিলেন না। খোঁজ নিলে গত কাল উনি আমাদের জানিয়েছেন জোগাই হাই স্কুলে উনি যোগদান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে স্কুলে কোনও সহকারি প্রধানশিক্ষক না থাকার জন্য স্কুল পরিচালন করা মুশকিল হয়ে পড়ছিল। প্রধান শিক্ষক রাতের অন্ধকারে চার্জ বুঝিয়ে দিয়েছেন স্কুলের পুরাতন পরিচালন কমিটির সভাপতিকে।” শিক্ষকদের দাবি, স্কুলে প্রধান শিক্ষক নাই, সহকারী প্রধান শিক্ষক নাই। সেই জন্য স্কুলে প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই সোমবার ৩০ জন অভিভাবক এবং ৫০ জন স্কুল পড়ুয়ার সাক্ষর সংগ্রহ করে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা দফতরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠছে এ ভাবে স্কুল বন্ধ রাখা যায় কি না, সে নিয়েই।
ডিআই মাধ্যমিক রেজাউল হক বলেন, ‘‘এই ভাবে স্কুল বন্ধ রাখা যায় না। এর জন্য শিক্ষক দের শো-কজ করা হবে। অন্যদিকে প্রধান শিক্ষক কি করে শিক্ষকদের চার্জ না বুঝিয়ে একজন প্রাক্তন পরিচালন কমিটির সভাপতি যার কোনও বৈধতা নাই বলে অভিযোগ তাকে কি করে চার্জ দিল সেটাও দেখতে হবে।’’ এ দিন স্কুলের শিক্ষকরাও পরে বলেন, স্কুলের সমস্যা কাটাতে গিয়ে মিড ডে মিল ও স্কুল বন্ধ রাখা তাঁদের ঠিক হয়নি। স্কুলের প্রাক্তন সভাপতি জহর মণ্ডল বলেন, ‘‘কাউকে কিছু না জানিয়ে বা পরামর্শ না নিয়ে স্কুলের চার্জ নেওয়া আমার ঠিক হয়নি।’’
কী বলছেন কুমারিশবাবু?
তিনি বলেন, ‘‘স্কুলে কোনও সহকারী প্রধান শিক্ষক নাই। স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতিকে আমি চার্জ বুঝিয়ে দিয়েছি। এর পরে শিক্ষকরা কি করেছে তার জবাব শিক্ষকরাই দেবেন।’’