সাবধানী: মন্দির চত্বরে বাঁধা হয়েছে বাঁশ। নিজস্ব িচত্র
তারাপীঠ মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনের চাতালে দর্শনার্থীদের লাইন ঠিক করার জন্য বাঁশ বাঁধল মন্দির কমিটি। এর ফলে গর্ভগৃহের সামনের চাতালে দর্শনার্থীরা আর গা-ঘেঁষাঘেঁষি করে একত্রিত হয়ে দাঁড়াতে পারবেন না। ভিড় সামাল দিতে বুধবার সকালে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে মন্দির কমিটি।
করোনা পরিস্থিতির কারণে ৯৫ দিন পরে মঙ্গলবার তারাপীঠ মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয়। প্রথম দিনই দর্শনার্থীদের মধ্যে পারস্পরিক দূরত্ববিধি ছিল না। অভিযোগের আঙুল ছিল মন্দির কমিটির বিরুদ্ধে। দেড় থেকে দু’হাজার দর্শনার্থীতেই যদি এই অবস্থা হয়, তা হলে আগামী দিনে কী হবে এই প্রশ্ন ওঠে। বিশেষ করে সামনেই শ্রাবণ মাস। পূণ্যর্থীদের ঢল সামাল দেওয়া যাবে কী করে, তাই নিয়ে চিন্তায় পড়ে মন্দির কমিটিও।
এ দিকে, মন্দির খোলার আগের দিনই রামপুরহাটের মহকুমাশাসক শ্বেতা আগরওয়াল মন্দিরে দর্শনার্থীদের পারস্পরিক দূরত্ব বিধি পালন নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মন্দির কমিটিকে। মঙ্গলবার বিকেলেও মন্দিরে দর্শনার্থীদের পারস্পরিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখার বিষয়টি সরজমিন খতিয়ে দেখেন মহকুমাশাসক। কমিটিকে আরও একবার সতর্কও করে দেন তিনি। মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় এবং সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, পরিস্থিতির উপরে নজর রেখে মন্দিরের গর্ভগৃহের সামনের চাতালে দর্শনার্থীরা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে যাতে মাতারার দর্শন না করেন, তার জন্য বাঁশ বেঁধে বেড়া করে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে দর্শনার্থীরা কেউ বেড়া টপকে গা ঘেঁষে দাঁড়াতে পারবে না। এক জন এক জন করে দর্শন করে বেরিয়ে আসতে পারবেন। মন্দির কমিটির দাবি, এতে পারস্পরিক দূরত্ব বিধি পালন করতে সুবিধা হবে।
বুধবার অবশ্য তারাপীঠে দর্শনার্থীদের ভিড় খুব বেশি ছিল না বলে দাবি করেছে মন্দির কমিটি। তবে শুক্রবার, শনিবার এবং রবিবার ভিড় হবে মনে করছে মন্দির কমিটি। এর জন্য মন্দির চত্ত্বরে আপাতত পুলিশ মোতায়েন করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছে কমিটি। মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত মন্দির চত্ত্বরে ভিড় সামাল দিতে আপাতত চার জন করে পুলিশ কর্মী ডিউটি দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।