তারা মা। নিজস্ব চিত্র।
তারাপীঠে আজ ‘যিনি তারা, তিনিই জগদ্ধাত্রী’। আজকের দিনে তারা মাকে সাজিয়ে তোলা হয় জগদ্ধাত্রী রূপে। এই রূপেই আজ আরাধনা হয় তারা মায়ের। দীর্ঘ দিন ধরে তারাপীঠে এই প্রথা চলে আসছে। আজকের দিনে মায়ের অন্য রূপ দেখার জন্য ঢল নামে ভক্তদের।
তারাপীঠে তারা মা ছাড়া অন্য মৃন্ময়ী মূর্তি পূজা হয় না। তারাপীঠের বাসিন্দারা মনে করেন, তারা মায়ের মধ্যেই সব দেবী বিরাজমান। দুর্গা কালী সরস্বর্তী সব তারা মায়ের মধ্যেই রয়েছেন। তাই তাঁকেই নানা রূপে পুজো করা হয়।
তারাপীঠে মন্দির কমিটির সেবাইত তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আজ অন্য দিনের তুলনায় অন্য রকম করে মায়ের আরাধনা হয়। সকালে তারা মায়ের মঙ্গল আরতি, সন্ধ্যায় হয় ভোগ নিবেদন। এরপর নিশিরাতে মাকে ডাকের সাজে জগদ্ধাত্রী রূপে সাজিয়ে পুজো করা হয়। এই জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় তারা মায়ের দু’বার অন্ন ভোগ হয়। নিশিভোগে বিশেষ খিচুড়ি ও বিভিন্ন রকম ভাজা। আর এই ভোগ সাধু এবং মায়ের ভক্তদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া হয়।”
রাজ কৃষ্ণচন্দ্রের হাত ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। পরে তা কৃষ্ণনগর থেকে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে। বাদ যায়নি তারাপীঠও। তবে এখানে জগদ্ধাত্রী পুজো ৪ দিনের বদলে হয় এক দিনে, নবমীর রাত্রে।