প্রতীকী ছবি
জেলায় এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী মেলেনি। করোনা-সংক্রমণের নিরিখে জেলা এখনও পর্যন্ত গ্রিন জ়োনে আছে বলেই দাবি জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। তবে গ্রিন জ়োনে থাকলেও জেলা স্বাস্থ্য দফতর এ বারে করোনা সন্দেহে আরও বেশি করে টেস্ট করার ব্যাপারে জোর দিয়েছে। শনিবারই রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার অধীন নলহাটি ১ ব্লক থেকে ৯ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার নাইসেডে পাঠানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, জেলার বাইরে থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর বেশি নজরদারি আছে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। এ ছাড়া যারা রাজ্যের করোনা-হটস্পট এলাকা থেকে জেলাতে ফিরেছেন ও জেলার বাইরে কলকাতা বা অন্যত্র চিকিৎসা করাতে গিয়ে ফিরে এসেছেন তাঁদেরও টেস্ট করার জন্য বেছে নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জেলার স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে বেশি করে টেস্ট করার জন্য জেলার প্রতিটি ব্লক থেকে বাসিন্দাদের বাছাই করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নলহাটি ১ ব্লক থেকে যাঁদের লালারস টেস্ট করার জন্য পাঠানো হয়েছে তার মধ্যে মুর্শিদাবাদ জেলার সালার এলাকা থেকে ফিরে আসা নলহাটির এক শ্রমিক আছেন। সালারে সরকারি নিভৃতবাস কেন্দ্রে ১৪ দিন থাকার পরে ওই শ্রমিকের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। আবার নলহাটি ১ ব্লকের তিন জন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন। সেখানে চিকিৎসা করতে না পেরে তাঁরা
নলহাটি ফিরে আসেন। তাঁদেরও লালারস সংগ্রহ করে নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৫ জনের মধ্যে ৩ জন শ্রমিক আছেন যাঁরা লকডাউনের আগে মুম্বই থেকে ফিরেছেন। তাঁদের কেউ গৃহবন্দি জীবন মানছিলেন না, কেউ আবার সর্দি কাশি জ্বরে ভুগছিলেন।
একই পরিবারের এমনই তিন শ্রমিককে এলাকার আশা কর্মীরা সন্ধান করে তাদের লালারস পরীক্ষা করার জন্য পাঠিয়েছেন। এ ছাড়া বাইরে থেকে আসা আরও দুই শ্রমিকের লালারস সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রথম ধাপে নলহাটি ১ ব্লক থেকে ৯ জনের লালারস রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মাধ্যমে নাইসেডে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য জেলার অন্য ব্লক থেকেও লালারস নাইসেডে পাঠানো হবে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে।
মিলেছে স্বস্তির খবরও। রামপুরহাটে তৈরি কোভিড হাসপাতালে (লেভেল ২) চিকিৎসাধীন দু’জনের ও রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ফিভার ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন একজনের লালারস সংগ্রহ করে নাইসেডে পাঠানো হয়েছিল। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার এক আধিকারিক জানান, শনিবার রাতে তাঁদের রিপোর্ট এসে পৌঁছায়। তিন জনেরই রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ মিলেছে। এঁদের মধ্যে একজন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলাও রয়েছেন।