শুভেন্দু অধিকারী।
এ বার ইডি মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের ডাকতে শুরু করবে— শনিবার বীরভূমের ময়ূরেশ্বরের কোটাসুরে সভা করতে এসে এমনই দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, পিসি, ভাইপো-সহ সবাই আসবেন এই তালিকায়। জবাবে তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, শুভেন্দুর নিজেরই তো ‘যাওয়ার কথা’, তিনি বিজেপির পা ধরে তা আটকেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সদ্যই বীরভূম সফর করেছেন। অনুব্রত মণ্ডলের অনুপস্থিতিতে বীরভূমের সংগঠনের রাশ তিনি নিজের হাতে নেবেন বলে জেলার নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জানিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রতহীন বীরভূমকে গুরুত্ব দিচ্ছে বিজেপিও। অনুব্রত জেলবন্দি হওয়ার পর থেকে বিজেপির বীরভূম সাংগঠনিক জেলায় বার তিনেক এসেছেন শুভেন্দু। তবে, কেষ্ট-গ্রেফতারি উত্তর বোলপুর সাংগঠনিক জেলায় এই প্রথম জনসভা করলেন তিনি।
এ দিন সভার পরে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারকে সরাসরি নিশানা করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘‘ভাইয়ের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যা ও তৃণমূল কংগ্রেসের কলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়ের যৌথ সম্পত্তি সামনে এসেছে।’’ এর পরে তিনি জানান যে, ইডি এই নিয়ে তদন্তে কাউকে কাউকে দিল্লিতে ডেকেছে বলে সংবাদমাধ্যম থেকে জেনেছেন তিনি। খবরে প্রকাশ, কয়লা পাচারের মামলায় গজরাজ নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ভবানীপুরের ধাবা মালিক মনজিৎ সিংহ গ্রেওয়ালকে দিল্লির সদর দফতরে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তদন্তকারীদের সূত্রে খবর, বুধবার বেলা ১১টায় সব সম্পত্তির নথি, ব্যবসায়ী সংস্থার নথি এবং ১০ বছরের আয়করের রিটার্ন-সহ মনজিৎকে হাজির হতে বলা হয়েছে। শুক্রবার মনজিৎকে ই-মেল মারফত নোটিস পাঠানো হয়েছে। শনিবার সকালে তাঁর বাড়িতে নোটিস দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে এর পরে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘নিশ্চিত ভাবে কান টানলে মাথা আসবে। পিসি যাবে, ভাইপো যাবে, ভাইপোর বউ যাবে, ভাইপোর শ্যালিকা যাবে, ভাইপোর মা যাবে, পিসির ভাই যাবে।’’ যার জবাবে তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁর নিজেরই যাওয়ার কথা, বিজেপির পা ধরে তা আটকেছেন, তাঁর মুখে রাজ্যের মানুষ এ সব কথা শুনবেন কেন।’’