University of Vishwabharati

বিশ্বভারতীতে সাসপেনশনের মেয়াদ বৃদ্ধি, পড়ুয়ার মন্তব্য, ‘আত্মঘাতী হলে দায়ী উপাচার্য’

সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়ারা হলেন অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ, হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভাগের রূপা চক্রবর্তী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বোলপুর শেষ আপডেট: ১৩ জুলাই ২০২১ ২৩:২৯
Share:

ফাইল ছবি

শিক্ষকদের বেতন দেরিতে হওয়া নিয়ে বিতর্ক ছিলই, এ বার নতুন করে পড়ুয়াদের সাসপেনশনের সময়সীমা বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে নোটিস দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়, সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের সাসপেনশের সময়সীমা আরও ৩ মাস বাড়িয়ে দেওয়া হল। সেই সময়সীমা বৃদ্ধির কথা শুনেই শাস্তির মুখে পড়া পড়ুয়ার সাফ কথা, ‘‘সাসপেন্ড হওয়া কেউ আত্মঘাতী হলে দায়ি থাকবেন উপাচার্য।’’

Advertisement

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনীতি ও রাজনীতি বিভাগের ছাত্র ফাল্গুনী পান ও সোমনাথ সৌ। এ ছাড়া অর্থনীতি ও হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীত বিভাগের ছাত্রী রূপা চক্রবর্তী। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ৩ পড়ুয়াকে এই বছর ১৪ জানুয়ারি সাসপেন্ড করে। তার সময়সীমা শেষ হতেই একবার সাসপেনশনের মেয়াদ বাড়ে। দ্বিতীয় বারের মেয়াদ শেষ হওয়ার মুখে, অর্থাৎ ১৪ জুলাই থেকে ফের ৩ মাসের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হল পড়ুয়াদের। এই মেয়াদ থাকবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত।

শাস্তির মুখে পড়া ছাত্র সোমনাথ সৌ বলেন, ‘‘উপাচার্য বিশ্বভারতীরতে অগণতান্ত্রিক পরিস্থিতি করেছেন। তাঁর স্বৈরাচার ও একনায়কতন্ত্রের বিরোধীতা করে রুখে দাঁড়ানো ও প্রতিবাদ করাতেই এই পদক্ষেপ। এর পর আমাদের মধ্যে কেউ যদি কোনও ভয়ঙ্কর পদক্ষেপ নেন, আত্মঘাতী হন, তার জন্য দায়ি থাকবেন উপাচার্য।’’

Advertisement

অন্য দিকে, বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক ও প্রোক্টরকে ফোন করা হলেও এই নিয়ে কোনও উত্তর মেলেনি। বিশ্বভারতী শিক্ষক সংগঠনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উপাচার্যের স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে পড়ুয়ারা প্রতিবাদ করায় তাঁদের শাস্তির মুখে পড়তে হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement