তৎপর: বাড়ি ৈতরি হচ্ছে সুন্দরপুরে। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
প্রথম দফার টাকা অধিকাংশই বাড়ি তৈরি করতে শুরু করে অর্থাভাবে হাত গুটিয়ে বসেছিলেন। কেউ বা ধারদেনা করে বাড়ি তৈরির পরে শোধ করতে না-পারায় অস্বস্তির মধ্যে ছিলেন। দ্বিতীয় দফার টাকা পেয়ে তাই হাসি ফুটেছে নানুরের বন্যা-বিধ্বস্ত সুন্দরপুর গ্রামের বাসিন্দাদের।
গত বছর অক্টোবরে অজয় নদের বাঁধ ভেঙে সুন্দরপুর গ্রাম নিশ্চিহ্ন যায়। নিরাশ্রয় হয়ে পড়ে শতাধিক পরিবার। অজয়ের বাঁধে প্লাস্টিকের তাঁবুতে আশ্রয় নেন দুর্গতেরা। এখনও দু’টি পরিবার সেখানেই রয়ে গিয়েছে। প্রথম দিকে প্রশাসনের উদ্যোগে ৬ মাসের মধ্যে গ্রাম পুনর্নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে অবশ্য বাড়ি তৈরির জন্য গ্রামবাসীদের ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ডিসেম্বর মাসে ৮ টি পরিবারের নামে প্রথম দফায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকায় বাড়ি তৈরি শুরু করেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু, অধিকাংশ বাড়িই মাঝপথে থমকে যায়। কেউ ধারদেনা করে বিপাকে পড়ে যান।
বৃহস্পতিবার গ্রামবাসীদের হাতে দ্বিতীয় দফার ৫০ হাজার টাকার করে চেক তুলে দেওয়া হয়। হাজির ছিলেন জেলাশাসক বিধান রায়, অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) কৌশিক সিংহ, সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, স্থানীয় বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাঝি, জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান। কেরিম খান জানান, প্রশাসনের পক্ষে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল-সহ অন্যান্য পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃতীয় দফার টাকাও সময় মতো পেয়ে যাবেন উপভোক্তারা।
গ্রামবাসী বুদ্ধদেব মাঝি, নারায়ণ মাঝিরা বলেন, ‘‘প্রথম দফার টাকায় বাড়ির তৈরির কাজ অর্ধেক হয়ে আটকে ছিল। এ বার ফের কাজ শুরু করে দেব।’’ বিজয় থান্দার, হৃদয় মেটের কথায়, ‘‘আমরা ধারদেনা করে বাড়ি তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে রেখেছিলাম। এ বার ধার শোধ দেব।’’