ঋণদান। মঙ্গলবার সিউড়ির ডিআরডিসি হলে তোলা নিজস্ব চিত্র।
সিবিআইয়ের হাতে দলীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি বিজেপি-র রাজনৈতিক চক্রান্ত বলেই দাবি করলেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান তথা সাংসদ সুলতান আহমেদ।
মঙ্গলবার সিউড়িতে ডিআরডিসি হলে রাজ্যে সংখ্যালঘু উন্নয়ন নিয়ে সচেতনতা এবং ঋণমেলার আয়োজিত করেছিল দফতর। সংখ্যালঘু মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং একক মহিলারা সরকারি সহায়তায় নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারবেন, সেই লক্ষ্যে ঋণপ্রদান অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিল সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগম। সেখানেই হাজির ছিলেন সুলতান। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক পি মোহন গাঁধী, জেলার সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার সাসুর রহমানও। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুলতান কটাক্ষ করে বলেন, ‘‘এটা সিবিআই নয়, এটা এমবিআইআই— মোদী ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন।’’
এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি। সুলতানের অভিযোগ, ‘‘আসলে বিরোধী দলদের টার্গেট করা হচ্ছে। বিশেষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল নোট বাতিলকে কেন্দ্র করে মানুষ কী অসুবিধা ভোগ করছেন— এই ব্যাপারটা তুলে ধরেছেন। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, আন্দোলন করছেন। তাই এরা (কেন্দ্রের বিজেপি সরকার) আমাদের লোকজন, সাংসদ, বিধায়কদের টার্গেট করছে। শুধু আমাদেরই নয়, উত্তর প্রদেশে নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের কাউকেই ওরা বাইরে রাখবে না।’’
এ দিনের ওই অনুষ্ঠানে মেয়াদী ঋণ ও ক্ষুদ্রঋণ মিলিয়ে উপভোক্তার সংখ্যা ছিল ৩১৮৭ জন। মোট ঋণের পরিমাণ ৫ কোটি ৭০ লক্ষ ৫ হাজার ৫০০ টাকা। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এবং সংখ্যালঘু একক মহিলাদের ঋণ দেওয়ার আগে থেকেই মোদীর নোট বাতিল নিয়ে সরব ছিলেন সুলতান। তিনি বলেন, ‘‘ঋণ দিলেও সেই টাকাটা ব্যাঙ্ক থেকে উপভোক্তারা কত দিন তুলতে পারবেন, তা দেখতে হবে। কারণ ব্যাঙ্কে তো টাকাই নেই!’’