প্রতিষেধক নেওয়ার অপেক্ষায় মেডিক্যালের পড়ুয়ারা। ছবি: সব্যসাচী ইসলাম।
করোনা প্রতিষেধক নিতে উৎসাহ জোগাতে এগিয়ে এলেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারি পড়ুয়ারা। সোমবার মেডিক্যালে প্রতিষেধক গ্রাহকদের ১২০ জনের তালিকার মধ্যে মেডিক্যাল পড়ুয়া ৯৯ জনের নাম ছিল। পরের দিন পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও লাইন দিয়ে প্রতিষেধক নেন তাঁরা।
সোমবার, প্রতিষেধক দেওয়ার দ্বিতীয় দিন দেখা গেল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা একে একে এগিয়ে টিকাপ্রদান কেন্দ্রে হাজিরা দিয়েছেন। তাঁরা জানান, মেডিক্যালের এমএসভিপি, প্রিন্সিপাল তাঁদের প্রতিষেধক নিতে উৎসাহ জুগিয়েছেন। তাই মঙ্গলবার পরীক্ষা থাকা সত্ত্বেও প্রতিষেধক নিতে এগিয়ে এসেছেন তাঁরা। পড়ুয়াদের কথায়, ‘‘অনেকের মধ্যে প্রতিষেধক নিতে জড়তা দেখা যাচ্ছে কিন্তু আমরা মনে করি দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে এই প্রতিষেধক নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে প্রদান করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে প্রতিষেধক গ্রহণে কারও মধ্যে কোনও দ্বিধা থাকা উচিত নয়।’’ পড়ুয়ারা জানান, কয়েকজন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁরাও প্রতিষেধক নেন।
প্রথমদিন রামপুরহাট মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে ১০০ জনের মধ্যে মাত্র ৪০ জন টিকা গ্রহণ করেন। রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার ৫টি টিকাপ্রদান কেন্দ্রের মধ্যে রামপুরহাট মেডিক্যালের টিকা গ্রহণ কেন্দ্রে গ্রাহকদের সংখ্যা সব থেকে কম। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের এমএসভিপি পলাশ দাস জানান, সংশয় ছিল বলে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ তো দূরের কথা, মাত্র ৪০ শতাংশ গ্রাহক টিকা গ্রহণ করেছিলেন।
প্রতিষেধক নেওয়ার ব্যাপারে সেই সংশয় কাটাতে এরপরে উদ্যোগী হন কর্তৃপক্ষ। এমএসভিপি জানান, টিকাগ্রহণে যাতে কারও মধ্যে জড়তা না থাকে সেজন্য হোয়াটসঅ্যাপে করোনা টিকাগ্রহণ নিয়ে প্রচার চালানো হয়েছিল। হাসপাতালের সর্বস্তরের কর্মী-সহ পড়ুয়াদের মধ্যেও প্রচার করা হয়। এতে পড়ুয়াদের মধ্যে সাড়া পড়েছে।
টিকাগ্রহণে মেডিক্যাল পড়ুয়াদের এগিয়ে আসার বিষয়ে পড়ুয়াদের ধন্যবাদ জানিয়ে রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, ভ্যাকসিন সকলেরই নেওয়া উচিত।