space watching at patrasayer

অবাক চোখে আকাশ দেখল পড়ুয়ারা  

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তিথি সাহা বলে, ‘‘ভূগোল বইয়ে যা পড়েছি, তা টেলিস্কোপে দেখে মনে হল তারাদের যেন ছুঁয়ে দেখতে পেরেছি। বড় হয়ে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে পড়তে চাই।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পাত্রসায়র শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৮:২০
Share:

পাত্রসায়র গার্লস হাইস্কুলে। —নিজস্ব চিত্র।

টেলিস্কোপে আকাশভরা তারা দেখে বিস্ময় ফুটে উঠল পড়ুয়াদের চোখমুখে। মঙ্গলবার সর্বশিক্ষা মিশন বাঁকুড়ার উদ্যোগে এবং দীঘা ‘বিআইটিএম’-র সহায়তায় আকাশ পর্যবেক্ষণ কর্মসূচি হয় পাত্রসায়র গার্লস হাইস্কুলে।

Advertisement

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মধুমিতা কারক বলেন, ‘‘হস্টেলের একশো আবাসিক ছাত্রীর জন্য এই অনুষ্ঠান হয়। ওদের মধ্যে উৎসাহ, উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। এই দিনটির জন্য মুখিয়ে ছিল ছাত্রীরা।’’ তিনি জানান, শুরুতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। পরে হয় জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ নিয়ে একটি সেমিনার। অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা সহ-শিক্ষিকা স্বাগতা মাজি বলেন, ‘‘বিআইটিএমের আধিকারিকেরা ছাত্রীদের হাতেকলমে কাগজ ও গ্রাফ দিয়ে বিভিন্ন মাসে নক্ষত্রদের অবস্থান কী ভাবে বুঝতে হয়, তা শেখিয়ে দেন। সন্ধ্যায় মূল আকর্ষণ ছিল টেলিস্কোপে আকাশ দেখা।’’

সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী তিথি সাহা বলে, ‘‘ভূগোল বইয়ে যা পড়েছি, তা টেলিস্কোপে দেখে মনে হল তারাদের যেন ছুঁয়ে দেখতে পেরেছি। বড় হয়ে মহাকাশ গবেষণা নিয়ে পড়তে চাই।’’ ওই শ্রেণিরই আর এক পড়ুয়া কোয়েল পালিতের কথায়, ‘‘টেলিস্কোপে আকাশ দেখার পরে সারা রাত তারাদের স্বপ্ন দেখেছি। কী বিস্ময়কর সেই অনুভূতি। বৃহস্পতি আর তার উপগ্রহ দেখলাম। দারুণ ভাল লাগল।’’ পঞ্চম শ্রেণির সুবার্তা ঘোষ বলে, ‘‘এখন ঘড়ি না দেখেই রাতের নক্ষত্রদের অবস্থান বিচার করে সময় বলতে পারব। আমরা সবাই এই পদ্ধতি শিখেছি।’’

Advertisement

প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘অনুষ্ঠান শেষে এক আকাশ বিস্ময় আর আনন্দ নিয়ে ছাত্রীরা হস্টেলে ফিরেছিল। এ ভাবে শিখলে সবকিছু ওদের মনের মধ্যে গিঁথে যায়।’’ অনুষ্ঠানে ছিলেন বিডিও (পাত্রসায়র) সুভাষ বিশ্বাস, সর্বশিক্ষা মিশন, বাঁকুড়ার হস্টেল কো-অর্ডিনেটর কাকলি রাহা, পাত্রসায়রের দুই চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক গণেশ গঁরাই, ধীমান মণ্ডল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement