Students Protest

Bankura: ভর্তির রসিদে লেখা ৮৩ টাকা, দিতে হচ্ছে ৭৫০ টাকা, বাঁকুড়ার স্কুলে ঘেরাও প্রধান শিক্ষক

পড়ুয়াদের বক্তব্য, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে সাড়ে সাতশো টাকা করে আদায় করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২১ ২৩:৫৫
Share:

নিজস্ব চিত্র।

স্কুলে ভর্তির রসিদ কাটা হচ্ছে ৮৩ টাকার। অথচ, পড়ুয়া পিছু নেওয়া হচ্ছে সাড়ে সাতশো টাকা। 'মিষ্টি খাওয়া'র জন্য ছাত্রছাত্রীদের থেকে টাকা আদায় নিয়ে গন্ডগোলের পর ফের বিতর্কে বাঁকুড়া মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুল। ভর্তির জন্য সাড়ে সাতশো টাকা নেওয়ার প্রতিবাদে এবং ওই টাকা ফেরতের দাবিতে বৃহস্পতিবার স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা। তার পরই স্কুলের পরিচালন সমিতির সঙ্গে বৈঠক করে ছাত্রছাত্রীদের টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধনচন্দ্র ঘোষ।

Advertisement

পড়ুয়াদের বক্তব্য, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য বিজ্ঞান ও কলা বিভাগের প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীর কাছ থেকে সাড়ে সাতশো টাকা করে আদায় করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর এ দিকে ৮৩ টাকার রসিদ কেটে দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, স্কুলের বক্তব্য, পরীক্ষাগারের ফি বাবদ ওই বাড়তি টাকা নেওয়া হচ্ছে। যদি তাই হয়ে থাকে, তবে রসিদে কেন পরীক্ষাগারের খরচের উল্লেখ নেই-- এই প্রশ্ন তুলে প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করে পড়ুয়াদের একাংশ। এই বছর একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উঠেছে ওই স্কুলের ছাত্রী নন্দিতা ঘোষ ও সীমা কর্মকার। তাদের কথায়, “একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সময়েও আমাদের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়েছিল স্কুল। এ বারও একই কাণ্ড! বাড়তি টাকা ফেরত দিতে হবে স্কুলকে, তা না-হলে আন্দোলনে নামব।”

প্রধান শিক্ষক সাধনচন্দ্র বলেন, “ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কত টাকা নেওয়া হয়েছে, তা আমি বলতে পারব না। পরিচালন সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ‘কশান মানি’ হিসাবে ওই টাকা নেওয়া হয়েছিল। আগামী পয়লা সেপ্টেম্বর স্কুলের পরিচালন সিমিতির বৈঠক রয়েছে। ওই বৈঠকের পর ছাত্রছাত্রীদের আবেদনের ভিত্তিতে ওই টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” বস্তুত, মাসখানেক আগেই স্কুলের শিক্ষকদের মিষ্টি খাওয়ার নাম করে উচ্চমাধ্যমিকের উত্তীর্ণদের থেকে মাথাপিছু ৫০ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ উঠেছিল স্কুলের কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশেই অনৈতিক ভাবে টাকা আদায় করা হয়েছিল। ওই ঘটনার পরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছিল পড়য়ারা। শেষ পর্যন্ত স্কুলশিক্ষা দফতরের নির্দেশে পড়ুয়াদের ওই টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনার রেশ কাটতে না-কাটতেই আবার বিতর্কে জড়ালেন প্রধান শিক্ষক।

Advertisement

বাঁকুড়া জেলা স্কুল পরিদর্শক (সেকেন্ডারি) পীযুষকান্তি বেরা বলেন, “ভর্তির সময়ে ছাত্রছাত্রীদের থেকে বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। আমরা খতিয়ে দেখছি বিষয়টি। বেশি টাকা নেওয়া হয়ে থাকলে ছাত্রছাত্রীদের তা ফেরত দিতে হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement