বিশ্বভারতীতে পরীক্ষা বয়কট। নিজস্ব চিত্র
অচলাবস্থা অব্যাহত রইল বিশ্বভারতীতে। সোমবার থেকে বিশ্বভারতীতে উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা শুরুর কথা থাকলেও তা বয়কট করেন পড়ুয়ারা। কয়েক জন অভিভাবক অবশ্য বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতে ধস্তাধস্তি বাধে দু’পক্ষের মধ্যে।
দিন কয়েক আগে বিশ্বভারতীতে কলেজের সেমেস্টার পরীক্ষা বয়কট করেছিলেন পড়ুয়ারা। সোমবার উচ্চমাধ্যমিক স্তরের প্রথম ভাষার প্রথম পত্রের পরীক্ষা ছিল। কিন্তু সেই পরীক্ষা বয়কট করেন অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীই। কয়েক জন পড়ুয়ার অভিভাবক অবশ্য বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে তা নিয়ে ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তার জেরে এক জন ছাত্র আহত হয়েছেন।
শর্মিষ্ঠা দাস নামে এক পরীক্ষার্থীর বক্তব্য, ‘‘টেস্টের ১০ দিন আগে আমাদের বলা হয়েছে, পুরো সিলেবাস ধরে পরীক্ষা হবে। আমাদের অ্যাডমিট কার্ডে রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং উপাচার্যের কোনও সই নেই। তাই আমরা পরীক্ষা বয়কট করছি। আমাদের সময় দিতে হবে।’’ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রের বক্তব্য, ‘‘আমাদের অনলাইন ক্লাস হয়েছে। কিন্তু এক মাসও সময় না দিয়ে অফলাইনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই পরীক্ষা পিছনো হোক। তাই আমরা পরীক্ষা বয়কট করছি।’’
বিশ্বভারতীর পাঠভবন এবং শিক্ষাসত্র এই দুই বিভাগ মিলিয়ে আনুমানিক ২০০ পরীক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল সোমবার। কিন্তু, সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করে ছাত্রছাত্রীরাই পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বিশ্বভারতীতে দীর্ঘ দিন ধরে চলছে ছাত্র আন্দোলন। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, হোস্টেল খুলতে হবে, অনলাইনে পরীক্ষা নিতে হবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে হবে। এই দাবি নিয়ে টানাপড়েনের জেরে ছাত্রবিক্ষোভ এখনও চলছে। কলেজের সেমেস্টার পরীক্ষা যাঁরা বয়কট করেছিলেন তাঁদের ‘ফেল’ ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছিলেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। উচ্চমাধ্যমিক স্তরের পরীক্ষা যাঁরা বয়কট করেছেন তাঁদের ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করা হবে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যদিও এ নিয়ে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।