বৃষ্টি মাথায় নানুরের রাস্তায় অবরোধ বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
প্রশাসনের কাছে আর্জি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে শেষ পর্যন্ত পথ অবরোধে বসল স্কুল পড়ুয়ারা। তাদের সঙ্গে সামিল হলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। এ দিন ঘটনাটি ঘটেছে নানুরের ফতেপুর গ্রামের কাছে।
প্রশাসন এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নানুর-বোলপুর সড়কের পাশেই গ্রামটি। ওই সড়ক থেকে স্থানীয় বেলগ্রাম পর্যন্ত কিলোমিটার পাঁচেক রাস্তা রয়েছে। তার মধ্যে অর্ধেক অংশে দীর্ঘদিন আগে মোরাম দেওয়া হলেও বাকিটা কাঁচাই রয়ে গিয়েছে। কিন্তু সংস্কারের অভাবে মোরাম দেওয়া অংশটুকুও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ জায়গাই
খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। এক পশলা বৃষ্টি হলেই সেই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা কঠিন হয়ে পড়ে। অভিযোগ, বারবার জানানো হলেও প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই।
ওই রাস্তা দিয়েই ফতেপুর, বেলগ্রাম, মান্দার, মুনিগ্রাম-সহ প্রায় ৮/১০টি গ্রামের মানুষকে জীবন জীবিকার তাগিদে যাতায়াত করতে হয়। বছরভর ওই রাস্তায় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বিশেষত স্কুল পড়ুয়াদের। ওই রাস্তা দিয়েই বেলুটি মহাকবি কালিদাস মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রায় তিনশো ছাত্রছাত্রীকে যাতায়াত করতে হয়। এ দিন ওই পড়ুয়ারাই ফতেপুর গ্রামের কাছে পৌনে আটটা থেকে নানুর-বোলপুর সড়ক অবরোধ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশও তাদের সঙ্গে যোগ দেন। অবরোধের জেরে যানজট হয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নানুরের বিডিও অরূপকুমার মণ্ডল, ওসি মনোজ সিংহ, সংশ্লিষ্ট বড়া-সাওতা পঞ্চায়েতের প্রধান মুনমুন ঘোষ, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্যেরা। সাড়ে দশটা নাগাদ তাঁদের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।
একাদশ শ্রেণির ছাত্র সেলিম শেখ, দ্বাদশ শ্রেণির শাহিনা খাতুনরা বলে, ‘‘রাস্তার দুরবস্থার কারণে সাইকেল থাকা সত্ত্বেও আমাদের ৩/৪ কিলোমিটার পথ হেঁটে স্কুলে যেতে হয়। বর্যার সময় অনেক দিন স্কুলে যাওয়াই হয় না।’’ স্কুলের প্রধান শিক্ষক তারাপদ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘‘রাস্তার বেহাল দশার জন্য বৃষ্টি বাদলের দিনে স্কুলে পড়ুয়াদের হাজিরা কমে যায়।’’ বিডিও বলেন, ‘‘আপাতত যত দ্রুত সম্ভব রাস্তা সংস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তীকালে রাস্তা পাকা করার প্রস্তাব জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হবে।’’