বোলপুর অর্জুনলাল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের দেওয়া হল শুকনো খাবার। নিজস্ব চিত্র
মিড-ডে মিলের সরঞ্জাম চুরি গিয়েছে বুধবার রাতে। তার জেরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার মিড-ডে মিল জুটল না পড়ুয়াদের। বদলে দু’দিনই তারা পেয়েছে কেক ও কলা। এমনই ছবি এখন বোলপুর অর্জুনলাল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ে। এই নিয়ে গত ছ’মাসে পরপর তিন বার চুরি হল এই স্কুলে। কিন্তু কোনও ঘটনারই কিনারা বোলপুর থানার পুলিশ করতে না পারায় অভিভাবক এবং শিক্ষিকাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে।
বুধবার জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষে স্কুল ছুটি ছিল। বৃহস্পতিবার স্কুল খুলে শিক্ষিকারা দেখতে পান, মিড-ডে মিলের রান্নাঘরের তালা ভেঙে রান্নার গ্যাসওভেন, সিলিন্ডার থেকে শুরু করে সমস্ত সরঞ্জাম চুরি করে নিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর ফলে বৃহস্পতিবার স্কুলে রান্নাই হয়নি। মিড-ডে মিলের পরিবর্তে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হয় শুকনো খাবার। মিড-ডে মিলের আর কোনও সরঞ্জাম না থাকায় শুক্রবারও রান্না হয়নি। পরিবর্তে পড়ুয়াদের কেক ও কলা দেওয়া হয়। স্কুলের পড়ুয়া পায়েল খাতুন, জাহির খান, সূর্য প্রামাণিকরা বলে, ‘‘স্কুলে রান্না না হাওয়ায় আজও আমাদের শুকনো খাবার খেতে হয়েছে।’’
এ দিন অর্জুনলাল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে আসেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি প্রলয় নায়েক। সঙ্গে ছিলেন অন্য আধিকারিকেরা। তাঁরা শিক্ষিকাদের দ্রুত মিড-ডে মিল চালুর ব্যবস্থা করা নিয়ে আশ্বস্ত করেন। প্রলয়বাবু বলেন, ‘‘চুরির ঘটনার খবর পেয়ে আমরা বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে এসেছিলাম। শিক্ষা দফতরের তরফ থেকে শিক্ষিকা ও কর্মীদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। শনিবার থেকে যাতে মিড-ডে মিল চালু করা যায়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ স্কুলে নিরাপত্তা বাড়ানোর ব্যাপারে পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের আধিকারিকেরা।
ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা কেয়া মিত্র (বুট) বলেন, ‘‘এখনও মিড-ডে মিলের সরঞ্জামের ব্যবস্থা না হাওয়ায় বাধ্য হয়ে বাচ্চাদের এদিন শুকনো খাবার দেওয়া হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি আশ্বস্ত করেছেন দ্রুত মিড ডে মিল চালুর ব্যাপারে। আশা করছি, আমরা শনিবার থেকেই রান্না করা খাবার দিতে পারব।’’