প্রতিবাদ: বিশ্বভারতীতে বিক্ষোভ মিছিল। নিজস্ব চিত্র
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি শেষ হতেই সাত পড়ুয়ার সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে দিন কয়েক আগে থেকে আন্দোলনে নেমেছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। বুধবার বিশ্বভারতীর সার্বিক অবনমনের বিরুদ্ধে, সাত পড়ুয়ার সাসপেনশন ও বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার-সহ একাধিক দাবিতে পথে নামলেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। এ দিন পথে নেমেছেন অধ্যাপকেরাও।
এ দিন শান্তিনিকেতনের উপাসনাগৃহের সামনে থেকে পড়ুয়ারা একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে শেষ হয় মিছিল। সাসপেনশন প্রত্যাহার, উপাচার্যের পদত্যাগ-সহ বিভিন্ন দাবি তুলে সেখানে পড়ুয়ারা বিক্ষোভও দেখান। আন্দোলনরত পড়ুয়ারা জানান, “আমরা আগেই জানিয়েছিলাম সাত পড়ুয়ার সাসপেনশন ও অধ্যাপককে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষকে প্রত্যাহার করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লাগাতার আন্দোলন এ ভাবেই চলবে।”
অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে বরখাস্ত ও পড়ুয়াদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে এ দিন অধ্যাপকদের একাংশও শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিসের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। একই দাবিতে এ দিন সকালে বোলপুর বকুলতলায় একটি প্রতিবাদ সভা ও বকুলতলা থেকে বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয় পর্যন্ত একটি মিছিল করে পিএসইউ। এ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নওফেল মহম্মদ সফিউল্লা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পিএসইউ এর রাজ্য সম্পাদক কৌশিক ভৌমিক, সংগঠনের রাজ্য নেতা প্রসেনজিৎ দাস। রাজ্য বামফ্রন্টের নেতৃত্বে আগামী ১৯ জানুয়ারি বিশ্বভারতীর সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি নাগরিক সমাবেশ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।