আদালতে ধৃত। নিজস্ব চিত্র
গাছ থেকে পেয়ারা পে়ড়ে দেওয়ার নাম করে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল পুরুলিয়া মফস্সল থানা এলাকার এক যুবকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবারের ঘটনা। অভিযোগ পেয়েই শেখ ফারুক নামে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়।
ছাত্রীটির মায়ের অভিযোগ, মঙ্গলবার তাঁর মেয়ে স্কুলে গিয়েছিল। স্কুল থেকে ফেরার পথে গ্রামেরই ওই যুবক তাকে পেয়ারা পেড়ে দেওয়ার নাম করে নিজের মোটরবাইকে তুলে ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে সে ওই বালিকাকে ধর্ষণ করে। তাঁর দাবি, ‘‘ফারুক এসে আমাদের জানায়, মেয়ে পেয়ারা পাড়তে গিয়ে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছে। রক্ত ঝরছে। শুনে আমি বাড়ি থেকে ছুটে যাই, মেয়ের কী হয়েছে দেখতে। দেখি বিধ্বস্ত অবস্থায় কাঁদতে কাঁদতে সে ছুটে আসছে। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করতেই মেয়ে আমাকে সব খুলে বলে।’’
তাঁর অভিযোগ, অত্যাচারের আগে মেয়ে চিৎকার করার চেষ্টা করায় ফারুক ওকে ভয় দেখায়। সে মেয়েটির মুখ ও গলা টিপে ধরে। তার বাবা-মা কিছু করতে পারবে না বলেও হুমকি দেয়।
ঘটনাটি জেনে সঙ্গে সঙ্গে তিনি মেয়েকে নিয়ে সোজা পুরুলিয়া মফস্সল থানায় যান। পুলিশে অভিযোগ করেন। ঘটনার খবর শুনে বেশ কিছু লোকজন পুরুলিয়া মফস্সল থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। অভিযোগ পাওয়ার পরে নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষাও করানো হয়। এ দিকে খবর চাউর হয়ে যাওয়ায় গ্রাম থেকে সরে পড়েছিল অভিযুক্ত যুবক। পুলিশ রাতেই তাকে গ্রেফতার করে।
বুধবার তাকে পুরুলিয়া আদালতে তোলার জন্য পুলিশ নিয়ে আসতেই সেখানে ভিড় জমে যায়। আদালতে তোলার সময় অভিযুক্তকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান কিছু মানুষজন। অভিযুক্তকে লক্ষ করে চলতে থাকে গালিগালাজ। উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশ অবশ্য অভিযুক্তকে নিয়ে আদালতে ঢুকে যায়। অভিযুক্তকে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে (প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস অ্যাক্ট) মামলা রুজু করা হয়েছে। নাবালিকার মা বুধবার বলেন, ‘‘আমার মেয়ের প্রতি যে নারকীয় অত্যাচারের ঘটনা ঘটেছে, তাতে দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাই।’’ অভিযুক্ত আদালতে কোনও জবাব দেননি।