স্কুলের ভিতরে ক্লাসরুম, স্টাফরুম, প্রধান শিক্ষকের ঘরের সামনে মলত্যাগ করে পালিয়েছে এলাকার কিছু বদলোক। আর সকালে স্কুলে গিয়ে তা নজর পড়েছে পড়ুয়া, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বাঁকুড়ার সারেঙ্গা ব্লকের জামবনি হাইস্কুলের ঘটনা। এই ঘটনায় স্কুলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এই কুরুচিকর কাজের প্রতিবাদে ক্লাস বন্ধ করে সোমবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়ে স্মারকলিপি দিল পড়ুয়ারা। তাদের সঙ্গে ছিলেন শিক্ষক, শিক্ষিকা এবং স্কুলের সমস্ত শিক্ষাকর্মী।
জামবনি হাইস্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এক হাজারের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে। প্রধান শিক্ষক-সহ ৩০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, ৭ জন পার্শ্বশিক্ষক, দু’জন করণিক এবং ৪ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী রয়েছেন। স্কুলের চারপাশের মধ্যে মাত্র এক দিকে সীমানা প্রাচীর রয়েছে। বাকি তিন দিক খোলা। স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন সকালে স্কুলে আসার পর ক্লাসরুমে ঢুকতে গিয়ে দরজার সামনে মল দেখতে পায় পড়ুয়ারা। স্টাফরুমের দরজা ও প্রধান শিক্ষকের অফিসঘরের সামনেও মল পড়ে থাকতে দেখা যায়। প্রধান শিক্ষক স্বপন সিংহ মহাপাত্রর কথায়, “এ দিন চারটি ক্লাসরুম, স্টাফরুম ও অফিস ঘরের দরজার সামনের চারিদিকে মল পড়েছিল। ফলে দরজা খোলা যায়নি। পরে সেগুলি পরিষ্কারের পর দরজা খোলা যায়। স্কুলের চারিদিকে সীমানা প্রাচীর না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। রাতের অন্ধকারে যে কেউ ঢুকে পড়ছে।’’ তাঁর ক্ষোভ, ‘‘একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে যারা এমন কুকর্ম করে গিয়েছে, তারা আর যাই হোক মানুষ নয়। স্থানীয় কিছু দুষ্কৃতী এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।’’
তিনি জানান, এমন কুকর্মের প্রতিবাদে এ দিন প্রথমার্ধের ক্লাস সাময়িক বন্ধ রেখে স্থানীয় নেতুরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে পড়ুয়াদের নিয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পরে অবশ্য ক্লাস হয়েছে। মিড-ডে মিল যথারীতি হয়েছে। এমন ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়েছে। এ দিন অবশ্য পঞ্চায়েতের প্রধান দীপালি দুলে অফিসে ছিলেন না। যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কেউ বা কারা এমন নোংরা কাজ করে গিয়েছে শুনে আমি তাজ্জব হয়ে গিয়েছি। কারা এই কুকর্ম করল, তা স্থানীয় ভাবে খোঁজখবর নিচ্ছি।’’