তখন দুপুর। আকাশ অন্ধকার করে ঝাঁপিয়ে বৃষ্টি নামল মন্দিরনগরী বিষ্ণুপুরে। বুধবার ছবিটি তুলেছেন শুভ্র মিত্র।
আচমকা দমকা হাওয়া শুরু হয়েছিল। সঙ্গে বৃষ্টি। তারই মধ্যে হঠাৎ কয়েক মুহুর্তের ঘুর্ণি ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হল বাঁকুড়ার ইন্দাস ব্লকের আকুই ১ পঞ্চায়েতের তিনটি গ্রামে। বুধবার দুপুরের ঝড়ে আকুই, গবপুর ও মাদরা গ্রামে কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কিছু বাড়ির টিন, খড় বা অ্যাসবেস্টসের ছাউনি উড়ে গিয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি, গাছপালাও উপড়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ আচমকা ঝড় শুরু হয়। প্রবল ঝড়ে অনেক মাটির বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ে। তাঁরা জানান, এ দিন ঝড়ের স্থায়িত্ব ছিল কয়েক সেকেন্ড মাত্র। তার মধ্যেই এই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মাদরা গ্রামে দু’জন দেওয়াল চাপা পড়ে যান। যদিও সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। ইন্দাসের বিডিও সুচেতনা দাস বলেন, “আকুই ১ পঞ্চায়েতের তিনটি গ্রামে ঝড়ে বহু ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি এবং গাছপালা উপড়ে পড়েছে। খবর পেয়ে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিকদের ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রিপল দেওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে।”
বিডিও জানান, ঝড়ে যে সমস্ত বাসিন্দাদের বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। এই ঝড়ে প্রাণহানির কোনও খবর নেই বলে জানিয়েছেন বিডিও।
বুধবার দুপুরে জেলার বিভিন্ন প্রান্তেই ঝড়বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর থেকে কালো মেঘে ছেয়ে গিয়েছিল জেলার আকাশ। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। জেলা আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনের বৃষ্টির পরিমাণ ৫.৭ মিলিমিটার। বাঁকুড়া শহরে অবশ্য ঝড় হয়নি। জেলা শাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, “ঝড়ের দাপটে ইন্দাসে কিছু বাড়ির চালা উড়ে গিয়েছে বলে রিপোর্ট পেয়েছি। অন্য এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির কোনও রিপোর্ট পাইনি।”