ঝড়ে উড়ল স্কুলের চালও

ঝড়ে উড়ে গেল সাঁইথিয়া এলাকার বহু বাড়ির চাল। শনিবার সকাল থেকেই গুমোট গরম ছিল। বিকেলে আকাশ কালো করে মেঘের গর্জন শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁইথিয়া শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০১৬ ০৩:১১
Share:

ঝড়ের মার। শনিবারের ঝড়-বৃষ্টির জেরে স্কুলের ছাউনি উড়ে গেল। রবিবার সাঁইথিয়ায় তোলা নিজস্ব চিত্র।

ঝড়ে উড়ে গেল সাঁইথিয়া এলাকার বহু বাড়ির চাল। শনিবার সকাল থেকেই গুমোট গরম ছিল। বিকেলে আকাশ কালো করে মেঘের গর্জন শুরু হয়। সন্ধে ৬টা নাগাদ ঝড় ওঠে, সঙ্গে বৃষ্টি। ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে যায় অনেকের বাড়ির টিনের ও খড়ের চাল। ব্লক প্রশাসনের মতে সাঁইথিয়া ও আমোদপুর এলাকা মিলিয়ে প্রায় দেড় থেকে দুশো পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Advertisement

গত ক’দিন থেকে জেলাজুড়ে ঝড় বৃষ্টি চলছে। তাতে দাবদহ কমেছে ঠিকই, কিন্তু ঝড়ে বহু বাড়ির টিন ও খড়ের চাল উড়ে গেছে। ঝড়ে সাঁইথিয়ার সাত নম্বর ওয়ার্ডের সূর্যসেন পল্লির বেশ কিছু বাসিন্দার বাড়ির টিনের ও খড়ের ছাউনি উড়ে যায়। সংলগ্ন বনগ্রাম পঞ্চায়েতের অটুয়া গ্রামের মথুরাপুর জুনিয়র হাইস্কুলের মিড-ডে মিল রান্নার ঘরের পশ্চিম দিকের চালও উড়ে গেছে।

রবিবার সকালে সাঁইথিয়া সূর্যসেন পল্লি গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় বাসন্দা টোটন দাস, কুশ মণ্ডল, উত্তম দাস ও তাঁদের পরিবারের লোকজন ঝড়ে উড়ে যাওয়া চালের টিন, বাঁশ, কাঠ কুড়িয়ে জড়ো করতে ব্যস্ত। তাঁদের কথায়, ঝড়ে আমাদের বাড়ির টিন ও খড়ের ছাউনি তুলে ফেলে দেয়। পেশায় মটর বাইক গ্যারেজ মিস্ত্রি টোটনবাবু বলেন, ‘‘আমাদের একটা বাড়ির তিনটি ঘড়ের টিনের ছাউনি ঝড়ে উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে পাশের পুকুড়ে ফেলে দেয়। জলে ভিজে নষ্ট হয়ে গিয়েছে বাড়ির সব।’’

Advertisement

একই অভিজ্ঞতার কথা শুনিয়ে কুশবাবু বলেন, ‘‘আমাদের তাঁত বোনা ঘরের ছাউনি উড়ে যাওয়ায় অনেক সুতো ও তাঁত সামগ্রি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।’’ অটুয়া জুনিয়র হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রমা মণ্ডল বলেন, ‘‘স্কুলের মিড ডে মিল রান্না ঘরের চালের একাংশ উড়ে স্কুলের মাঠে পড়েছে। স্কুল চলাকালীন এমন হলে বড় বিপদ হত।’’ সাঁইথিয়ার বিডিও অতুনু ঝুরি বলেন, ‘‘শনিবারের ঝড়ে সাঁইথিয়া ও আমোদপুর এলাকা মিলিয়ে দেড় থেকে দুশো বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement