আলোচনায়: ডেউচা প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় মুখ্যসচিব। রয়েছেন জেলাশাসকও। নিজস্ব চিত্র
মানুষের আস্থা অর্জন করে পুজোর পরেই ডেউচা–পাঁচামি কয়লা প্রকল্পের কাজে হাত দিতে চায় রাজ্য সরকার। প্রস্তাবিত কয়লা খনি নিয়ে বৃহস্পতিবার এলাকার মানুষের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যসচিবের বৈঠকের পরে সেটা স্পষ্ট হয়েছে।
কিন্তু মূল কাজ শুরুর আগেও বেশ কিছু কাজ থাকে। যেমন যে অংশে প্রকল্প হচ্ছে, সেই এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জমি সংক্রান্ত রেকর্ড ঠিক করার কাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ রাজ্যে জমির রেকর্ড ঠিকঠাক করতে গিয়ে বহু প্রকল্পে দেরি হওয়ার নজির রয়েছে। নথিপত্র ঠিক আছে কিনা, তা দেখতে শিবির করে শুনানি করতে করতেই অনেক সময় পেরিয়ে যায়। ডেউচা প্রকল্পের ক্ষেত্রে তাই সেই কাজ পুজোর মধ্যেই সেরে ফেলতে এ দিন জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরকে নির্দেশ দিয়ে গেলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ।
বীরভূমের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার)শুভ্রজ্যোতি ঘোষ জানিয়েছেন, মুখ্যসচিবের নির্দেশ মেনে পুজোর মধ্যেই সেই কাজ শেষ করা হবে। দফতরের আধিকারিকদের দাবি, জেলায় প্রচুর সংখ্যক অনলাইন মিউটেশেন হয়েছে। আদিবাসী এলাকায় কিছু কাজ এগিয়েই আছে। বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হবে এলাকায় শিবির করে। ঘটনা হল, আগে যখন কোল ব্লকের দায়িত্ব পেল রাজ্য, প্রাথমিক ভাবে শোনা গিয়েছিল ১১ হাজার একরের বেশি জমির নীচে কয়লা খনি রয়েছে। কিন্তু মুখ্যসচিব এ দিন পরিষ্কার জানিয়ে গেলেন, কোল ব্লক রয়েছে সাড়ে তিন হাজার একর জমি জুড়ে। তার জন্য সরাতে হবে দেড় থেকে দু’হাজার মানুষকে। পুরো এলাকা এক সঙ্গে নয়, খনি গড়া হবে ধাপে ধাপে।
প্রশাসনের একটা সূত্রে বলছে, আদতে কতটা জায়গা জুড়ে কোল ব্লক সেটা ভীষণ ভাবে স্পষ্ট, এটা বলার সময় এখনও আসেনি। কোথায় কত নীচে কয়লা মজুত রয়েছে, তার জন্য ‘এক্সপ্লোরেশন’ বা সমীক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেটার উপরে ভিত্তি করেই মাইনিং প্ল্যান করবে পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগম। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে দেওয়ানগঞ্জ, হরিণশিঙা, ও চাঁদা মৌজায় সমীক্ষার কাজ শুরু হবে।