উৎসুক: কৃষি উন্নয়ন মেলায় প্রদর্শনীতে ধান রোয়ার মেশিন দেখছেন কৃষকরা। ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
চাষিদের সাহায্যের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকার সমালোচনা করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সিউড়িতে কৃষি উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, ‘কৃষিবিমা বা অন্য নানা সহায়তার ক্ষেত্রেও ব্যাঙ্কগুলির ভূমিকা একদম খারাপ বললেও অসঙ্গত হবে না। কারণ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিতে কৃষকদের পায়ের জুতোর সুকতলা ক্ষয়ে যায় কিন্তু ব্যাঙ্কের সাহায্যের হাত এগিয়ে আসে না। তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমবায় ব্যাঙ্কগুলি থেকে চাষিদের সাহায্যের জন্য ব্যবস্থা করেছেন।’’
বৃহস্পতিবার থেকে সিউড়ি বেণীমাধব স্কুলের মাঠে শুরু হল পঞ্চম কৃষি উন্নয়ন মেলা। রাজ্য সরকারের কৃষি দফতর ও সিআইআই-র যৌথ উদ্যোগে ওই মেলার আয়োজন করা হয়। তিন দিন চলবে ওই মেলা। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপকুমার মজুমদার, কৃষি দফতরের ডিরেক্টর সম্পদরঞ্জন পাত্র, সিআইআই-র কৃষি ও ফুড প্রসেসিং সাব কমিটির কো-চেয়ারম্যান পার্থ ভট্টাচার্য, সিআইআই-র ডিরেক্টর তরুণ তপাদার, জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু, জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি নন্দেশ্বর মণ্ডল।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রসঙ্গ টেনেও কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন, ‘‘আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রের মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টুইট করে বললেন তাঁরা খুব ব্যথিত। আমি পশ্চিমবঙ্গের কৃষিমন্ত্রী হিসেবে বলছি বুলবুলের কারণে ১৫ লক্ষ হেক্টর জমির ক্ষতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সাহায্যের জন্য ১৩০০ কোটি টাকা দিয়েছেন। কিন্তু যাঁরা টুইট করলেন তাঁরা এক পয়সা ওই ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের জন্য দেননি।’’
সিআইআই ও কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বছর ওই কৃষি উন্নয়ন মেলা পঞ্চম বছরে পা দিল। রাজ্য স্তরের ওই মেলায় মূলত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির কৃষকরা অংশগ্রহণ করেছিলেন। আয়োজকদের থেকে জানা গিয়েছে, ওই মেলায় ৩৫-৪০টি স্টল রয়েছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ কুমার মজুমদার বলেন, ‘‘কৃষি প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক যন্ত্র সম্পর্কে কৃষকদের অবগত করা ও যন্ত্রগুলির ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণের ক্ষেত্রে কী কী করণীয় সেই সম্পর্কে তাঁদের পরিচিত করানোই এই মেলার উদ্দেশ্য।’’ সিআইআই-এর ডিরেক্টর তরুণ তপাদার বলেন, ‘‘মূলত এটি হল কৃষক পাঠশালা। নতুন যান্ত্রিকীকরণ, কীটনাশক ব্যবহার, কৃষকদের আয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করা যায় কীভাবে, সেই সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া হবে।’’