প্রতীকী ছবি।
যাঁরা অন্যের সাহায্য ছাড়া হাঁটাচলা করতে পারেন না, এমন বহু অসুস্থ ও বৃদ্ধ মানুষজন অনেকেই করোনা প্রতিষেধক নিতে পারেননি। তাঁদের কথা মাথায় রেখে ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচি নিচ্ছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্যের আরও একাধিক জেলায় এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেই তালিকায় নাম উঠবে বীরভূমেরও।
‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচির সফল রূপায়ণের জন্য জেলা প্রশাসনের সাহায্য চেয়েছেস্বাস্থ্য দফতর। প্রশাসন সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যকর্মীদের উপযুক্ত প্রাপকদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। যে সমস্ত বয়স্ক মানুষ একেবারেই বাড়ি থেকে বেরোতে পারেন না বা শয্যাশায়ী রয়েছেন, তাঁদের নামের তালিকা তৈরি প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে। রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলায় ইতিমধ্যে এক জন বয়স্ক মহিলাকে বাড়িতে গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়া হয়েছে। সেই কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে এক জন চিকিৎসকও উপস্থিত ছিলেন।
রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার উপ-মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ত্রিদিব মুস্তাফি জানান, প্রশাসনিক উদ্যোগে নলহাটি ১ ব্লকের একটি গ্রামে দশ দিন আগে শয্যাশায়ী দুই বয়স্ক ব্যক্তিকে বাড়িতে গিয়ে প্রতিষেধক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই দু’জনের মধ্যে এক জন মহিলাকে ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচিতে আনা হয়। অন্য জনের শরীরে জ্বর থাকার জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হয়নি।
তবে, স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘দুয়ারে ভ্যাকসিন’ কর্মসূচি সফল করতে গেলে যে পরিমাণ চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যকর্মী দরকার, জেলায় তা নেই। স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার জন্য গাড়ি দরকার। এত গাড়িও সব জায়গায় নেই। গাড়ি নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিক জানান, এই পরিকল্পনা সঠিক ভাবে কার্যকর করার জন্য প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা চলছে। সবচেয়ে আগে দরকার কারা বাড়ডিতে প্রতিষেধক পাবেন, তার তালিকা তৈরি। আপাতত সেই কাজই দ্রুত করতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বলা হয়েছে।