অচলাবস্থা কাটল মল্লারপুরে

এক সপ্তাহ আগে বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই এলাকায় যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণের দাবিতে নানা কর্মসূচি নিচ্ছিলেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ। ওই একই দাবিতে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকল রামপুরহাটের শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে গাড়ি চলাচল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রামপুরহাট শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০১৬ ০৮:০৩
Share:

থেমে থাক। বাসিন্দাদের আন্দোলনের জের। —নিজস্ব চিত্র।

এক সপ্তাহ আগে বেপরোয়া ডাম্পারের ধাক্কায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই এলাকায় যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণের দাবিতে নানা কর্মসূচি নিচ্ছিলেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের একাংশ। ওই একই দাবিতে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বন্ধ থাকল রামপুরহাটের শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে গাড়ি চলাচল। পরে প্রশাসনের কর্তাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

Advertisement

ঘটনা হল, ন’দিন আগে রানিগঞ্জ-মোড়গ্রাম জাতীয় সড়ক লাগোয়া আম্বা মোড় থেকে ঠাকুরপুরা যাওয়ার পথে মল্লারপুর রেলগেটের কাছে নিজের দোকানের সামনেই দুর্ঘটনায় পড়ে এক ব্যবসায়ীর মোটরবাইক। বেপরোয়া একটি ডাম্পারের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তার পরেই ঘটনাস্থলে আসা পুলিশ-প্রশাসনের কর্তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বিক্ষোভের জেরে ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় ধরে আটকা পড়ে বিভিন্ন লোকাল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। দু’দিন পরে সমস্যা মেটে।

প্রশাসন থেকে মল্লারপুর এলাকায় মাইকিং করে জানানো হয়েছিল আম্বা মোড় থেকে শালবাদরা রাস্তায় সকাল সাড়ে ন’টা থেকে এগারোটা পর্যন্ত এবং দুপুর সাড়ে তিনটের পর থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত পাথর ভর্তি গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। প্রশাসন থেকে এই আশ্বাস পাওয়ার পর এলাকায় গাড়ি চলাচল শুরু হয়। কিন্তু, এ বারও গাড়ি ‘ওভারলোড’ করা হচ্ছে এই অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ গাড়ি আটক করে। আসে পুলিশ। কেন স্থানীয়রা ডাম্পার আটকাবে সে প্রশ্নে তৈরি হয় জট। সে নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে শালবাদরা পাথর শিল্পাঞ্চলে ট্রাকচালকদের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের বচসাও বাধে। গোলমালে আম্বা মোড় থেকে ঠাকুরপুরা রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি হয়।

Advertisement

শালবাদরা পাথর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সংগঠনের সম্পাদক সুখেন্দু রায়ের অভিযোগ, ‘‘এলাকায় যখন তখন রাস্তা আটকে গাড়ি ঘেরাও করার জন্য বাইরে থেকে আসা ট্রাক চালকরা হয়রান হচ্ছেন। গত বুধবার থেকে কোনও গাড়ি ঢুকতে পারেনি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করার পর থেকে এলাকায় পাথর ভর্তি গাড়ি ঢুকতে শুরু করে। কিন্তু কিছু মানুষ জোর করে গাড়ি আটকে দেয়।’’ রামপুরহাট‌ের মহকুমাশাসক সুপ্রিয় দাস জানান, এলাকায় যান নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পাথর ব্যবসায়ীরা যাতে তাঁদের ব্যবসা ঠিক মতো চালু রাখেন তার জন্যেও বলা হয়েছে। তা সত্বেও ওভারলোডিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘যাঁরা অভিযোগ করছে তাঁদের গাড়ি আটকে রাখার এক্তিয়ার নেই। প্রশাসন পদক্ষেপ করবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement