তৃণমূলের সভাস্থল। নিজস্ব চিত্র
ডিওয়াইএফআই-এর সমাবেশের দু’দিন পরে বুধবার খাতড়ায় তৃণমূলের পাল্টা সভায় মাঠ পুরোপুরি ভরল না। এই দাবিকে ঘিরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে।
সোমবার ডিওয়াইএফআই-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় খাতড়ার রঙ্কিনীতলায় এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের খাদ্য প্রতিমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির জীবনযাত্রা নিয়েও কটাক্ষ করেন। তার জবাব দিতে বুধবার খাতড়ার সেই একই মাঠে সভা করে তৃণমূল। কিন্তু বাম যুব সংগঠনের সভায় মাঠ ভরে গেলেও, এ দিনের সভায় তা হয়নি বলে দাবি করেন বাসিন্দাদের অনেকে। তাঁরা জানান, মাঠের অনেকখানি ফাঁকা ছিল। ডিওয়াইএফআই-এর বাঁকুড়া জেলা সহ-সম্পাদক দেবদুলাল প্রামাণিকের দাবি, ‘‘এ দিনের প্রতিবাদ সভায় ১২০০-১৫০০ লোক হয়েছিল।’’ যদিও বাঁকুড়া জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মানিক মিত্র দাবি করেন, ‘‘ওই সভা ছিল ওদের জেলা সমাবেশ। এ দিনের প্রতিবাদ সভা ছিল শুধুমাত্র খাতড়া ব্লক তৃণমূলের। তাতেই ওদের জেলা সমাবেশের সমান প্রায় সাত হাজার মানুষের ভিড় হয়েছে। জেলার লোকজন আনলে খাতড়ায় তিলধারনের জায়গা পাওয়া যেত না।’’ পুলিশের অনুমান, এ দিনের সভায় প্রায় তিন হাজার মানুষের ভিড় হয়েছে। বামেদের সভাতেও প্রায় সমান ভিড় ছিল। যদিও সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, ‘‘আমাদের সভায় ৭,৩০০ লোক হয়েছিল।’’ এ দিনের সভায় তৃণমূলের বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, ‘‘তৃণমূলকে কারও সঙ্গে ‘সেটিং’ করতে হয় না। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বামেদের অন্যের হাত ধরতে হচ্ছে।’’ সভায় থাকলেও গলার অবস্থা ভাল না থাকায় বক্তব্য রাখেননি জ্যোৎস্না।