প্রতিহিংসার তত্ত্ব ওড়ালেন এসপি

দলের কর্মী স্বরূপ গড়াই খুনে দোষীদের ধরার দাবিতে গত সোমবার থেকে সিউড়িতে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে সাত দিনের ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল জেলা বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সিউড়ি শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০০:০১
Share:

চলছে থানা ঘেরাও। নিজস্ব চিত্র

দু’দিনের মধ্যে প্রথমে দলের যুব মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি ধ্রুব সাহা, পরে জেলার সম্পাদক পদে থাকা অতনু চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ধরপাকড় আসলে পুলিশের ‘প্রতিহিংসা’ বলে অভিযোগ বিজেপি-র।

Advertisement

দলের কর্মী স্বরূপ গড়াই খুনে দোষীদের ধরার দাবিতে গত সোমবার থেকে সিউড়িতে জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে সাত দিনের ধর্না কর্মসূচি নিয়েছিল জেলা বিজেপি। সেই মঞ্চ থেকে জেলা পুলিশ এবং পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপি-র একাধিক জেলা ও রাজ্য নেতা। শনিবার ১৪৪ ধারা জারি করে ধর্না তুলে দেওয়ার প্রতিবাদও করা হয়েছে। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, সেই ‘আক্রোশ’-এই বেছে বেছে নেতাদের ধরা হচ্ছে, যাতে তাঁদের কোণঠাসা করা যায়।

জেলার পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ অবশ্য বলছেন, ‘‘কোনও প্রতিহিংসার বিষয় নয়। জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে, এমন ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে সোমবার রাতে। তাঁদের মধ্যে এক জন কেউ কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা হতেই পারেন। এটা কোনও অনুপাতেই আসে না! তা ছাড়া, ওয়ারেন্ট ছিল এমন ৭০ জনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘অন্যায় করলে গ্রেফতার করা হবেই।’’

Advertisement

পুলিশ সুপারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জেলা বিজেপি সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলছেন, ‘‘অভিযোগ কবে কোথায় হয়েছে, আর কখন ধরা হচ্ছে— সেটাই আপত্তির। যেহেতু পুলিশের সমালোচনা করা হয়েছে তাই আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও সন্ত্রস্ত করে বিজেপিকে আটকানোর কৌশল নেওয়া হয়েছে। এবং সেটা শাসকের নির্দেশে। তবে এতে লাভ হবে না। আইনের চোখে সবাই সমান। শীর্ষ পুলিশকর্তা রাজীব কুমার তার উদাহরণ।’’

দলের নেতাদের এ ভাবে গ্রেফতারির প্রতিবাদে মঙ্গলবার সিউড়িতে দলীয় কার্যালয় থেকে সিউড়ি বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপি। মল্লারপুর থানার সামনে এ দিন এক ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি কর্মীরা। রামপুরহাটে বিজেপি কর্মীরা এসডিপিও-র কাছে বিজেপির দুই ধৃত নেতাকে নিঃশর্তে মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি দেন। বিজেপি নেতাদের দাবি, শাসকদলের এত ‘উন্নয়ন’ ডিঙিয়ে দল লোকসভা নির্বাচনে যথেষ্ট ভাল ফল করেছে। আগের থেকে ভোট বাড়িয়ে নিয়েছে অনেকগুণ। নতুন সদস্যপদের জন্য আবেদনপত্র পূরণ করেছেন তিন লক্ষের বেশি সদস্য। সেটাই কাপালে ভাঁজ ফেলেছে তৃণমূলের। তাই পুলিশকে ব্যবহার করে বিজেপি-কে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে—এমনই অভিযোগ তাদের।

বিজেপি-র দাবি উড়িয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘যাঁরা গ্রেফতার হয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কী কী ধারায় মামলা ছিল, আগে দেখা হোক। অপরাধে অভিযু্ক্ত থাকলে তাঁদের গ্রেফতার করবে না পুলিশ! কী চাইছে বিজেপি, আইনের শাসন থাকবে না?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement