পোড়া সেই গাড়ি। —নিজস্ব চিত্র।
জঙ্গলের কাঁচা রাস্তার উপর অগ্নিদগ্ধ চারচাকা গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার মানুষের কঙ্কাল। শুক্রবার এই ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়াল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রাম লাগোয়া ফকিরবাঁধ জঙ্গলে। শুক্রবার ভোরে জঙ্গলের মাঝে একটি গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলতে দেখে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে একটি পোড়া দেহও উদ্ধার করে। যদিও তখন সেটা কেবলই কঙ্কাল। ইতিমধ্যে এর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার ফকিরবাঁধ জঙ্গলে পাঁচাল ছান্দার মূল রাস্তা থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে জঙ্গলের ভিতরে একটি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে ওই পোল্ট্রি ফার্মের কর্মীরা দেখতে পান, ওই জঙ্গলের রাস্তায় একটি গাড়ি দাউ দাউ করে জ্বলছে। তাঁরাই খবর দেন সোনামুখী থানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে একটি গাড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গাড়িটির ভিতরে পড়ে রয়েছে আধপোড়া হাড়গোড় এবং কঙ্কাল। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই গাড়িটি চালাতেন পাঁচাল গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ধনঞ্জয় সাইনি। তাঁর পরিবারকে ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু কঙ্কালটিকে শনাক্ত করা যায়নি। অন্য দিকে, ধনঞ্জয়েরও কোনও খবর নেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে পেশায় গাড়িচালক ধনঞ্জয় ভাড়া খাটতে ওই গাড়িটি নিয়ে বেরোন। তার পর থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তাঁর। ধনঞ্জয়ের এক আত্মীয় সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার সময় আমরা এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি। তার পর ভাড়া আছে বলে ধনঞ্জয় গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে যায়। কোথায় ভাড়া আছে, সে সম্পর্কে আমরা কিছু জানতাম না। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি, ওর গাড়িটি পোড়ানো হয়েছে। কিন্তু ভিতরে কঙ্কাল দেখে বোঝার উপায় নেই ওটি কার। আমাদের ধারণা, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়। দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।’’
এ নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘‘খবর পাওয়ার পরই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গাড়িটি চিহ্নিত করা গেলেও পুড়ে যাওয়া কঙ্কালটি চিহ্নিত করা যায়নি। ফরেন্সিক দলকে খবর পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিচয় জানতে তদন্ত চলছে।’’