মিঠুন চক্রবর্তী এবং অনুব্রত মণ্ডল। নিজস্ব ছবি।
‘ফাটাকেষ্ট’র পাল্টা দিতে এ বার আদালতের এজলাসে বসেই দলীয় কর্মীদের নিদান দিলেন ‘কেষ্টদা’। নির্দেশ দিয়ে জানালেন, বিজেপির মিঠুন চক্রবর্তীর সভার পাল্টা সভা করতে হবে বীরভূমে। এত বড় সভা করতে হবে, যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বীরভূমে তৃণমূল ছাড়া আর কিছু না থাকে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে রা়ঢবঙ্গ সফরে বেরিয়েছেন রাজ্য বিজেপির কোর কমিটির অন্যতম সদস্য মিঠুন। বীরভূমে দলের সাংগঠনিক শক্তি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সেখানে সভা করার কথা ‘ফাটাকেষ্ট’র। ভরা এজলাসে বসে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের তারই পাল্টা সভার আয়োজন করার ‘নির্দেশ’ দিতে শোনা গেল অনুব্রত মণ্ডলকে।
গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে শুক্রবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির করানো হয়। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তৃণমূলের কয়েক জন নেতা-কর্মী। পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল নিয়ে তাঁদের কিছু নির্দেশও দিতে দেখা গেল অনুব্রতকে। আদালত সূত্রে খবর, দুপুরে শুনানি শেষ হতেই এজলাস ছেড়ে বেরিয়ে যান বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। তখনও এজলাসের বেঞ্চে বসেছিলেন অনুব্রত। সেই সময়েই বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েক জন তৃণমূলের নেতা-কর্মী অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করেন। কেউ কেউ তাঁকে ঠাকুরের ফুলও দেন। দলীয় কর্মীদের দেখতে পেয়ে ‘চেনা মেজাজে’ দেখা যায় অনুব্রতকেও।
তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলায় দলের সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজ নেন ‘কেষ্টদা’। তাঁদের কিছু পরামর্শও দিতে দেখা যায় তাঁকে। কর্মীদের মুখ থেকে আগামী ২৭ নভেম্বর মিঠুনের বীরভূম-সফরের কথা শুনে অনুব্রত স্পষ্ট জানিয়ে দেন, পাল্টা বিরাট সভা করতে হবে বীরভূমে। অনুব্রতের সঙ্গে দেখা করে আসা দলীয় এক কর্মীর কথায়, ‘‘দাদার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম। ফুল আর লাড্ডু এনেছিলাম। অনেক কথা হল। দাদা বলেছেন, এত বড় সভা করতে হবে যাতে পঞ্চায়েত ভোটে সব আসন তৃণমূলই পায়।’’
প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় শুক্রবার আসানসোলের আদালতে অনুব্রতের জামিনের আবেদনই করেননি তাঁর আইনজীবী। বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রতকে আরও ১৪ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ নভেম্বর।