জমায়েত: পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলন।
রান্নাঘরেই ‘আগুন’ লেগে গিয়েছে। সেই আঁচে সবাই ‘ঝলসে’ যাবে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এমনই অভিযোগ তুলে করে মঙ্গলবার দুই জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বাম নেতৃত্ব।
বিষ্ণুপুর শহরে বৈলাপাড়ায় একটি পেট্রল পাম্প চত্বরে সিপিএম নেতা-কর্মীরা তিন ঘণ্টার অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।
দলের বিষ্ণুপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ এবং বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন বিধায়ক স্বপন ঘোষ বলেন, ‘‘পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন থেকে রান্নার গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে। এর প্রতিবাদে আমাদের এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।’’ বিষ্ণুপুরে অবস্থান বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন বামফ্রন্টের জেলা কমিটির শীর্ষ নেতৃত্ব।
পেট্রল, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মঙ্গলবার জেলার বিভিন্ন এলাকায় পেট্রল পাম্পের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করল বামফ্রন্ট ও বাম সহযোগী মোট ১৭টি দল। এ দিন বাঁকুড়া শহর-সহ সারেঙ্গা, খাতড়া, ইঁদপুর, বেলিয়াতোড়, বড়জোড়া, ওন্দা-সহ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার পেট্রোল পাম্পগুলিতে ওই আন্দোলন হয়।
সিপিএমের বাঁকুড়া জেলা সম্পাদক অজিত পতি বলেন, “জেলা জুড়েই বিভিন্ন পেট্রল পাম্পের সামনে অবস্থান ও বিক্ষোভ চলে।’’
পুরুলিয়ায় আবার সিপিএম নেতৃত্ব অভিযোগ করেন, পেট্রোপণ্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামলেও রাজ্যের তৃণমূল সরকার তার বিরোধিতা করছে। এ দিন জেলার চারটি মহকুমাতেই পথে নেমেছিলেন বাম নেতৃত্ব।
পুরুলিয়া ট্যাক্সিস্ট্যান্ডের অবস্থান বিক্ষোভের মঞ্চ থেকে সিপিএমের জেলা সম্পাদক প্রদীপ রায় দাবি করেন, ‘‘এই সরকারের আমলে কেরোসিনের দাম বেড়েছে ৮৭.৫ শতাংশ। বহু গরিব মানুষ আছেন যাঁরা কেরোসিন তেলে রান্না করেন। তাঁরা সঙ্কটে পড়েছেন। বৃষ্টি নেই, মাঠে জল সেচ করতে পাম্প চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় কেরোসিনটুকুও মিলছে না।’’
এ দিন বক্তব্য রাখেন ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা সভাপতি বীরসিংহ মাহাতো, আরএসপির জেলা সম্পাদক অত্রি চৌধুরী প্রমুখ। ঝালদাতেও বাম নেতৃত্ব একই ভাবে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। মানবাজার-পুরুলিয়া রাস্তায় পেট্রল পাম্পের কাছে সিপিএম ও ফরোয়ার্ড ব্লকের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা হয়ে।