Nakashipara

সংসার করার দাবি নিয়ে ধর্না 

শুক্রবার সকাল থেকে হাতে লেখা কিছু পোস্টার, বিয়ের ছবি, ম্যারেজ সার্টিফিকেট নিয়ে নাকাশিপাড়ার কাঠালবেড়িরার শিমুল তলায় শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে ছিলেন তিনি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তরুণী তাঁর দাবিতে অনড় থেকেছেন। তাঁকে দেখতে অনেকেই ভিড় করেন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:৩০
Share:

শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসে তরুণী। নিজস্ব চিত্র।

বিয়ে হয়েছে বছর দেড়েক হল। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই মেয়ে বাপের বাড়ি রয়েছে। শ্বশুরবাড়ি আসতে চাইলেও নানা অজুহাতে তাঁকে সেখানে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। শ্বশুবাড়ি স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ি সঙ্গে সংসার করার দাবি নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন সেই তরুণী।

Advertisement

শুক্রবার সকাল থেকে হাতে লেখা কিছু পোস্টার, বিয়ের ছবি, ম্যারেজ সার্টিফিকেট নিয়ে নাকাশিপাড়ার কাঠালবেড়িরার শিমুল তলায় শ্বশুরবাড়ির সামনে বসে ছিলেন তিনি। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তরুণী তাঁর দাবিতে অনড় থেকেছেন। তাঁকে দেখতে অনেকেই ভিড় করেন।

তরুণীর নাম বিষ্ণুপ্রিয়া দাস। বাড়ি নাকাশিপাড়ার পলাশডাঙায়। কয়েক বছর আগে চাকরির পরীক্ষার কোচিং সেন্টারে কাঠালবেড়িয়ার অমিত কুমার ঘোষের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সেখান থেকেই প্রেম। বছর খানেক আগে তাঁরা কোর্ট ম্যারেজ বা রেজিস্ট্রি বিয়ে করেন। দুই পরিবারে বিষয়টি জানাজানি হলে তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেওয়ার কথাও হয়। অমিত বিষ্ণুপ্রিয়ার বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করতেন বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

তবে কিছু দিনের মধ্যেই অমিত ও তাঁর পরিবার ক্রমশ বিষ্ণুপ্রিয়াকে এড়িয়ে যেতে থাকেন বলে অভিযোগ। এর পরেই বিষ্ণুপ্রিয়া ধর্নায় বসার সিদ্ধান্ত নেন। বিষ্ণুপ্রিয়া বলেন, ‘‘হঠাৎ আমাদের ওরা এড়িয়ে চলছে।’’ তরুণীর দাবি, অমিতের সঙ্গে তাঁর একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক হয় ও তাতে সে গর্ভবতীও হয়। ওষুধ খেয়ে তিনি গর্ভপাত করান।

এই ব্যাপারে অমিতবাবুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া হলে বাড়ির এক সদস্য জানান, অমিতবাবুরা কেউ বাড়িতে নেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement