PMAY

ব্লক প্রশাসন নাম কেটেছে, নালিশ বিজেপি প্রধানের

সোমবার ব্লক অফিসে ছিলেন না বিডিও রবিশঙ্কর গুপ্ত। রাত ১১টা নাগাদ তিনি ফিরে রঘুনাথপুরের আইসি অর্ঘ্য মণ্ডলকে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:৩৭
Share:

সোমবার রাতভর অবস্থানের পরেও অনড় বিজেপি সদস্যেরা। নিজস্ব চিত্র

আবাস প্লাসের তালিকা বদল করে যোগ্যদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে শীতের রাতে পঞ্চায়েত অফিস চত্বরে অবস্থানে বসে রইলেন পঞ্চায়েতের প্রধান এবং পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপি সদস্যেরা। সোমবার সকাল থেকে রঘুনাথপুর ১ ব্লকে তাঁরা অবস্থান চালিয়ে যান মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত।

Advertisement

অবস্থানে শামিল ছিলেন বিজেপি পরিচালিত শাঁকা ও নতুনডি পঞ্চায়েতের দুই প্রধান-সহ পঞ্চায়েতের সদস্যেরা। ছিলেন ব্লকের বাকি পাঁচ পঞ্চায়েতের দলীয় সদস্যরা, একটি মণ্ডলের সভাপতি সন্টু তিওয়ারি, সম্পাদক মনিদীপ্ত অগ্নিহোত্রী, জেলা সহ-সভাপতি বাণেশ্বর মুখোপাধ্যায়-সহ প্রায় ১০০ কর্মী।

সূত্রের খবর, সোমবার ব্লক অফিসে ছিলেন না বিডিও রবিশঙ্কর গুপ্ত। রাত ১১টা নাগাদ তিনি ফিরে রঘুনাথপুরের আইসি অর্ঘ্য মণ্ডলকে নিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন। কিন্তু প্রস্তাব না মেনে রাতভর অবস্থান চালিয়ে যান বিজেপি নেতা-কর্মীরা।

Advertisement

এ দিন শাঁকা পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান বাবন বাউড়ি অভিযোগ করেন, ‘‘পঞ্চায়েতকে বাদ দিয়ে গ্রামে গ্রামে সমীক্ষা করিয়েছে প্রশাসন। পরে ব্লক থেকে সেই তালিকা পঞ্চায়েতে পাঠিয়ে গ্রামসভা ডেকে তালিকা অনুমোদন করতে বলা হয়। কিন্তু গ্রামসভা ডাকলেও স্থানীয়দের বিরোধিতায় সেই সভা স্থগিত করতে হয়েছে।’’

তাঁর দাবি, শাঁকা পঞ্চায়েতের ১৯৪৪ জনের নাম আবাস প্লাস তালিকায় ছিল। সমীক্ষার পরে ৫৩৪ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁদের অনেকেই বাড়ি পাওয়ার যোগ্য। শাঁকা পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান বাবন বাউড়ি ও মণ্ডল সম্পাদক মনিদীপ্ত অগ্নিহোত্রীর দাবি, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, আশাকর্মীরা যোগ্য ব্যক্তিদের নাম তালিকায় রাখলেও পরে ব্লক থেকে সেই সব নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল প্রভাব খাটিয়ে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। আমরা এই তালিকা বাতিল করে যোগ্যদের নাম রাখার দাবি জানাচ্ছি।’’

নতুনডি পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান আশা বাউড়ির দাবি, তাঁর পঞ্চায়েতের ৮০৮ জনের নাম তালিকায় ছিল। সমীক্ষার পরে ১৯৭ জনের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘যাঁদের নাম বাদ পড়েছে, তাঁদের মধ্যে অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ বাসিন্দার বাড়ি নেই।’’

তবে বিজেপির তোলা অভিযোগ মানেনি প্রশাসন। বিডিও (রঘুনাথপুর ১) রবিশঙ্কর গুপ্ত বলেন, ‘‘বিজেপির পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিরা আবাস যোজনা সংক্রান্ত বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন। কী প্রক্রিয়ায় তালিকা চূড়ান্ত করা হবে, তা নিয়ে বিশদে বোঝানো হয়েছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement